ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের আয়োজনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের আয়োজনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ৭১ বছর পূর্ণ উদযাপিত করা হয়েছে ।
মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহরের বাজার স্টেশনের মুক্তির সোপান শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু করা হয়। ভোর পৌনে ৭ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন অর্ধনির্মিত করণ ও কালোব্যাজ ধারণ করে স্কুলের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রভাত ফেরী নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯ টায় স্কুলের হলরুমে এক আলোচনাসভা শেষে রচনা,আবৃত্তি, কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র(১) মোঃ নুরুল হক।
সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজেদুল ইসলাম।
সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভিক্টোরিয়া হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মির্জা মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ সাইফুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার মন্ডল, মোছাঃ পারভীন খাতুন মোছাঃ জিয়াসমিন সুলতানা, মোঃ সাইফুল ইসলাম, ম্যানজিং কমিটির সদস্য মোঃ আতাউর রহমান, দাতা সদস্য জাহিদ হাসান শান্ত, খালেকুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, শিক্ষক মোঃ রাশিদুল হাসান।
এসময়ে অনুষ্ঠানে স্কুলে শিক্ষক মোছাঃ নাজমা খাতুন মোঃ রকিবুল ইসলাম, মোঃ শামীম হোসেন, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সানজিতা আকতার, শিউলী খাতুন, সহকারী গ্রন্থাঃ নাহিদ লায়লা, খন্ডঃ শিঃ কাওছার খান, নাঈম রানা সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা বাংলা ভাষা এ মায়ের ভাষা সন্মান রক্ষার্থে ১৯৫২ সালের এইদিনে তুমুল আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজ পথ রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে ছিলো মাতৃভাষার ভাষার জন্য আত্মদনের অভূতপূর্ব নজির। তাই বাঙালী জাতির চেতনার প্রতিক – সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর নাম না জানা অনেক শহিদ সেদিন প্রাণ দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানো ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র জনতা অধিকার আদায়ে মিছিল করে। সর্বোচ্চ ত্যাগে করে ছিলেন। এভাবেই বাংলা ভাষার জয় হয়।