শিরোনামঃ
আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার বদলে যাবে হাওরের কৃষি বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের ‘তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’ অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী দশতলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু বাগবাটি রাজিবপুর অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে হুইল চেয়ার বিতরণ সিরাজগঞ্জ পৌরকর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত  কাজিপুর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ বোরো -ধান চাউল সংগ্রহ এর উদ্বোধন আদিতমারীতে ধান-চাল ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু নিবির হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরেক শিশু বেনাপোল সীমান্তের চোরা পথে ভারতে যাবার সময় মিয়ানমার নাগরিকসহ আটক-৪ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্নহত্যা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা সিরাজগঞ্জে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মে মাসে ভোলার গ্যাস পাচ্ছে শিল্প খাত

কলমের বার্তা / ৭৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩

দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস পাচ্ছে শিল্প খাত। সিএনজিতে রূপান্তর করে এই গ্যাস এনে শিল্পকারখানায় সরবরাহ করা হবে। ইন্ট্রাকো সিএনজি এই কাজ পেতে পারে। প্রতি ঘনমিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হওয়া গ্যাসের বর্ধিত দর অনুসারে শিল্পে প্রতি ঘনমিটারের দাম এখন ৩০ টাকা। আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়ছে ৪৩ টাকা।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রথম পর্যায়ে ইন্ট্রাকোকে ভোলার গ্যাস সিএনজি হিসেবে সরবরাহের কাজ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দিনে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজি আকারে আনা হবে। সরকার আপাতত ভালুকা-গাজীপুরের জ্বালানি সংকটে থাকা কারখানায় এই গ্যাস দিতে চায়। এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে চলতি মাসেই  ইন্ট্রাকোর সঙ্গে চুক্তি করবে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ।

ভয়াবহ গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। এমন সংকটে ভোলা ক্ষেত্রের গ্যাস আলোচনায় আসে। এখন উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেক গ্যাস তোলা হচ্ছে। চারটি কোম্পানি সিএনজি আকারে গ্যাস পরিবহনে আগ্রহ প্রকাশ করে। এগুলো হলো– ইন্ট্রাকো সিএনজি দৈনিক ৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি), পার্কার বাংলাদেশ ২৩.৩৪ এমএমসিএফ, হাউলাদার বাংলাদেশ এমএমসিএফ এবং সুপার গ্যাস ৪ এমএমসিএফ গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের প্রস্তাব দেয়। বিশেষভাবে রূপান্তরিত ট্রাকে সিলিন্ডারে ভরে (ক্যাসকেড প্রক্রিয়ায়) সড়ক পথে অথবা বার্জে জলপথে নেওয়ার কথা জানায় আগ্রহী কোম্পানিগুলো। জানা গেছে, দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজিতে পরিণত করে পরিবহনের জন্য ৬০টি কম্প্রেসর এবং ২৩৮টি ক্যাসকেড ট্যাঙ্কার প্রয়োজন।

ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি গত ৩১ অক্টোবর তাদের প্রতিবেদন পেট্রোবাংলায় জমা দেয়। প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৮৬ এমএমসিএফ। ভোলার গ্যাস ক্ষেত্রের দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ এমএমসিএফ। ফলে উদ্বৃত্ত গ্যাসের পরিমাণ বর্তমানে ৩৪ এমএমসিএফ।

ওই প্রতিবেদনে প্রতি ঘনমিটার দাম ৫১.১২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। পরে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রতি ঘনমিটারের দাম ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা চূড়ান্ত করা হয়।

জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম সমকালকে বলেন, সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস আনার পরিকল্পনা ভালো উদ্যোগ। অনেক দেশেই এখন এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর পরিবহন সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিএনজি আকারে গ্যাস পরিবহন খুব ঝুঁকিপূর্ণ।

85


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর