শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

রমজান সামনে রেখে কেনা হচ্ছে ২৫ হাজার টন চিনি

রিপোর্টারের নাম : / ১১৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

আসন্ন রমজানে চিনির চাহিদা মেটাতে পৃথক দু’টি দরপত্রের মাধ্যমে ২৫ হাজার টন চিনি সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টেড্রিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১২ হাজার ৫০০ টন এবং দেশ থেকে স্থানীয়ভাবে দরপত্রের মাধ্যমে বাকি ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি সংগ্রহ করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২০১ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। দেশ থেকে যে চিনি কেনা হবে সেই চিনির মূল্য হবে প্রতি কেজি ১০৬ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত চিনির মূল্য হবে প্রতি কেজি ৮৯ টাকা।
সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য অন্যান্য প্রস্তাবের সাথে এ সংক্রান্ত পৃথক দু’টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, টিসিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ১,৩৮,০০০ টন চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই চাহিদার অংশ হিসেবে ২৫ হাজার টন চিনি সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ২০২১ সালের ২৩ জুন অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে অনুমোদনের তারিখ থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, মসলা-শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, চিনি, লবণ, আলু, খেজুর ইত্যাদি আমদানি বা স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যে পিপিএ, ২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রমজানকে সামনে রেখে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২৫ হাজার টন চিনি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুসরণ করে স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিসিবির মোট চাহিদার অংশ হিসেবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সে পরিপ্রেক্ষিতে, টিসিবি কর্তৃক ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল করপোরেশন, ঢাকা-এর কাছ থেকে দর প্রস্তাব চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি দর প্রস্তাব দাখিল করে। টিইসি কর্তৃক দর প্রস্তাবটি রেসপনসিভ হয়। দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১০৬ টাকা হিসেবে এই ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি সংগ্রহ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে আরো ১২ হাজার ৫০০ (+৫%) টন চিনি ক্রয় করা হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিসিবির মোট চাহিদার অংশ হিসেবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি আন্তর্জাতিকভাবে জরুরিভিত্তিতে ক্রয়ের জন্য সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে গোল্ডেন উইংস জেনারেল ট্রেডিং, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট:সানজাইব লিমিটেড, ঢাকা-এর কাছে দর প্রস্তাব আহ্বান করা হলে দর প্রস্তাব জমা দেয়। প্রস্তাবটি পরীক্ষা শেষে রেসপনসিভ হয়। দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি টন ৫২০ মা. ডলার (দেশীয় মুদ্রায় প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৮৮.৮৪৮ টাকা) হিসেবে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬৮ কোটি ৭৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর