শনিবার (২৭ মে) সকাল ৮ টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন একসময় হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী।
নিহত হলেন, দিনাজপুর নবাবগঞ্জের হরিপুর গ্রামের শফিজ উদ্দিনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৩৩)। তার স্বামী জয়নালের সাথে স্থানীয় ইকবালের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন৷ ইকবাল আজমেরি পরিবহনের সুপারভাইজার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহতের স্বামী ইকবাল আজমেরি পরিবহনে সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করে। গতকাল রাত ১০ টায় বাসায় আসে দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ সকাল ৭ টার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া করুণা বেগম রুমের ভিতর ভিক্টিমের (মেয়ে নুসরাত জাহান মায়া (৪) বাচ্চার ডাকাডাকি ও কান্নার শব্দ শুনতে পায়। রুমের সামনে গিয়ে দেখতে পান রুমের দরজা বাহির থেকে ছিটকানী লাগানো। পরে দরজা খুলে দেখেন গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ফ্লোরের উপর পড়ে মরিয়ম। পরে বাসার লোকজন জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে জানালে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামী গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।