শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চরবাসীর দুঃখ ঘোচাতে অনবদ্য ছুটে চলছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন লালমনিরহাট জজ আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কালিয়াকৈরে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন,২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য আটক যশোর ঝিকরগাছা উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ‎ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, জন ভোগান্তি সলঙ্গায় সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, থানায় মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদ ভাংচুর, থানায় মামলা যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে চলন্ত ট্রাকের উপর ভেঙে পড়লো গাছ

তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ডিলার বিহীন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা, ভোগান্তিতে কৃষকের

ইমরান হোসাইন,(বরগুনা জেলা) প্রতিনিধি / ৭১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

বরগুনার তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা। ডিলার বিহীন দোকানে শত শত বস্তা সার মওজুত করে বিক্রি করছে নিজেদের পছন্দ মত কৃষকদের মাঝে চড়া দামে। সার বিক্রিতে সরকারি নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা করছেন না দোকান্দারা। বেশ কয়েক জন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। সরকারি কোনো নিয়ম নীতি মানছে না। এমন পরিস্থিতিতে গোটা উপজেলায় ইউরিয়াসহ অন্যান্য কৃত্রিম সারের সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।

জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাতজন বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার। এছাড়াও প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৯ জন সার ডিলার রয়েছে। তবে সরকার অনুমোদিত এই খুচরা ডিলারের পরও রয়েছে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী। সরকারি নির্দেশনা মানছে না। বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ সার মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ডিলার এর কাছ থেকে সরাসরি সার কিনতে পারছে না। যার সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।

বিসিআইসি সার ডিলারদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জানা যায়, নিজস্ব দোকান অথবা গুদাম ব্যতীত নিজ বাড়িতেও সার মজুদ রাখার কোন সুযোগ নেই। উপরোক্ত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ । সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে সার বিক্রয় করা যাবে না। যার নামে লাইসেন্স তাকেই ব্যবসা করতে হবে। মজুদ রেজিষ্টার ফর্মেট অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে। বিক্রয় রেজিষ্টারে অবশ্যই কৃষকের নাম এবং মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারে ১৩৫০ টাকার ইউরিয়া সার চাষিরা কিনছেন ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা বস্তা দরে। খুব গোপনে এভাবে সার বিক্রি করে আসছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সার ডিলারদের ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে চাষিদের কাছে সার বিক্রির নিয়ম থাকলেও বেশি দামে বিক্রির কারণে তা করছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা ও ডিলাররা। কিছু ডিলার সিন্ডিকেট করে এমন নানা কারসাজি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে বিসিআইসি সার বিপুল পরিমাণে অবৈধ মজুদ করে রেখেছেন। ডিলার লাইসেন্স না থাকলেও অবৈধ পথে বিভিন্ন সার মজুদ করে রেখেছেন বেশি দামে বিক্রি করার জন্যে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, সার ডিলারদের কাছে সরকারি দরে ক্যাশ মেমোসহ সার কিনতে গেলে সার নেই বলে ছাফ জানিয়ে দেয়। আর বেশি দামে নিলেই পাওয়া যায় পর্যাপ্ত সার। তাই ডিলাররা সারের ১–৫ বস্তার মেমো না করে বিভিন্ন দোকানদারের নামে শত শত বস্তার মেমো করছেন। আর আমাদের মত সাধারণ চাষিদের কাছে মেমো ছাড়া বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন বিসিআইসি ডিলারের উচিৎ ডিলার ব্যতিত অন্য কাউকে সার হস্তান্তর না করা।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন হাওলাদার বলেন, খুরচা দোকানে ডিলার ছাড়া সার বিক্রি করা যাবে না। যারা বিক্রি করে আমাদের কাছে তথ্য দিন আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তালতলী উপজেলা কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার ছাড়া অন্য কেউ সার বিক্রি করতে পারবে না। যদি কেউ সার বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর