নির্বাচন ঘিরে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চারদিন দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসেবা চালু রাখার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালকের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি হাসপাতালগুলোয় পাঠানো হয়, যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন ও এর আগে-পরে যেকোনো ধরনের জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো রোগীকে সরকারি হাসপাতালে রেফার্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। এমনকি ব্যবস্থাপত্রের সঙ্গে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পূরণ করা রেফারেল ফরম যুক্ত করে রেফার করতে হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ ভোটের সময় প্রচুর মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। এমনও জায়গায় মানুষ যাচ্ছে, যেখানে আশপাশে সরকারি হাসপাতাল নেই। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে ও ভোটের সময় শারীরিক হেনস্থার শিকার হলে মানুষ যাতে চিকিৎসা পায়, সেজন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনে রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ভোটের দিন, আগের ও পরের দিন যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল টিম করা হয়েছে। সব জায়গায় সরকারি হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ নির্দেশ ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রয়োজন হলে সময় আরো বাড়ানো হবে।
সূত্র: বণিক বার্তা