বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কোনাবাড়ীতে টিনশেড বাসায় অগ্নিকাণ্ড,৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষককে মারধোর,সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দিনব্যাপী দুদকের অভিযান

আজ ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন

রিপোর্টারের নাম : / ১১৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চট্টগ্রাম-বরিশাল-মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বেকুঠিয়াতে কচা নদীর ওপর নির্মিত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বেগম ফলিজলাতুননেসা মুজিব ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করবেন। দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন হবে।

চীনা ৬৫৪ কোটি টাকার অনুদানসহ প্রায় হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের শেষভাগে শুরু হয়ে গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। গত ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরে তা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। চীনা প্রেসিডেন্ট-এর বাংলাদেশ সফরকালে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর দু’বছর পরে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ‘প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ ধরনের এ সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কচা নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্র্যান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কোটি টাকার জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মূল সেতুটির উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সর্বমোট দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে এক হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে আরো দু’টি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।

কচা নদীর সর্বোচ্চ জোয়ার থেকে ৬০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত সেতুটির তলদেশ দিয়ে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং বরিশাল ও খুলনা নদী বন্দরে পণ্য ও জ্বালানিবাহী বড় ধরনের নৌযান চলাচলও নির্বিঘ্ন থাকবে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর ফ্রিগেটসহ যেকোনো ধরনের জাহাজ চলাচলেও কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। নদীর মধ্যভাগে সেতুটির সবচেয়ে প্রশস্ত স্প্যানটিতে ১২২ মিটার এলাকা নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও যাতায়েতের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। এই বেকুটিয়া সেতু দক্ষিণাঞ্চলের দুই বিভাগকে এক করে দিয়েছে। সেতুটি চালু হলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরকে এবং শিল্পনগরী খুলনার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের দিগন্ত উন্মোচিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর