কাজিপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় যেনো ডেঙ্গু মশা প্রজনন কেন্দ্র
কাজিপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা হাঁটু সমান স্বচ্ছ পানি ডেঙ্গু প্রজননের আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকা চত্বর নিয়মিত পরিচ্ছন্ন না করায় কোমর সমান আগাছায় ভরে থাকে। এতে করে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির স্থলে সংস্থাটির উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তুলনামূলক নিচু জায়গা ও পাশের পুকুরে পানি বৃদ্ধির কারণে জলাবদ্ধতা হয় জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা থাকলেও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
রোববার ৮ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা যায়, কাজিপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেঘাই নৌবন্দর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি বেশ পুরনো, নিচতলা গোডাউন এবং দোতলা অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমের পুরো সময় ভবনের সামনে ও পিছনে চত্বরে আগাছা ও জলাবদ্ধ হয়ে আছে, নিচতলায় সংরক্ষিত মালামাল প্রায় ৩ ফুটের অধিক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহাদ আলী(৪৫) জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্থান জলাবদ্ধ থাকায় ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়তে পারে, স্থানীয়রা ঝুঁকিতে রয়েছে। দোকানদার মোকছেদুল বলেন, ভবনের তিন পাশে রাস্তা ও একপাশে বালুর স্তুপ থাকায় পানি বেড় হতে পারে না, স্থানীয়দের ঝুঁকি বাড়ছে।
কাজিপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, গত ৩ বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধ হয়, যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি, মাঝে মাঝে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়া হয়।
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনা পারভিন বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনটির নিচতলা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় পয়নিষ্কাশনের পানি মিশে পরিবেশ আরো দূষিত হবে, উপজেলার প্রতিটি গ্ৰামে ডেঙ্গু মশা ছড়িয়ে পড়েছে, নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উপায়ে গণ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান আছে এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কাজিপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে, এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।