কাজে বাধা দিলে তুলে নিয়ে যাব, যত বাঁশ লাগে আমি দিবো” উপজেলা প্রকৌশলী

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশরগ্রামের তরিকুল নাকে একাদশ শ্রেনী পড়ুয়া এক ছাত্রকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে কোটের আইন অমান্য করে রাস্তা করতে বাঁধা দিলে ‘উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মো: শামসুজ্জামান তাকে বলেন ‘‘কাজে বাধা দিলে তুলে নিয়ে যাব, যত বাঁশ লাগে আমি দিবো” ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, সেই ভিডিও তে শুনা যায় হুমকির কথা । আর সেই যুবক কে বিকালে হুমকী দেন আর সন্ধায় পুলিশ দিয়ে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে চিকিৎসা নিতে আশা অবস্থায় তরিকুল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন – উপজেলা প্রকৌশলী হুমকীতে পুলিশ আমাকে বিনা অভিযোগে থানায় তুলে এনে নির্যাতন করে সাধা কাগজে সই নিয়ে মামলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ডক্টর তার অবস্থার অবনতি দেখলে রংপুরে রেফার করে দেয়।
ওই ঘটনার বিষয়ে এস আই মাহবুব এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সার্থে আমরা ওখানে যাই সেখানে পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে পরিচিত শান্ত রাখতে তাকে থানায় আনা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এটি এম গোলাম রসুল জানান, জাতীয় সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ গেলে সে পুলিশের উপর উত্তেজিত হয়ে খারাপ ব্যবহার শুরু করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তরিকুল নামে একজনকে থানায় আনা হয়েছিল পরে তাকে তার পরিবারের জিন্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ সুত্র জানা যায়, ২৯শতক মালিকানা জমির মধ্যে ৪ শতক জমিকে কেন্দ্র করে তরিকুলের বাবা একটি মামলা করে কোটে সেখানে বলা আছে আইন শৃঙ্খলা পরিচিতি স্বার্থে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কেউ ওই জমির ওপর নামতে পারবে না। কিন্তু অপর বিপরীত খাস জমির দখলদার ইমদাদুল এর সাথে উপজেলা ইন্জিনিয়ারের যোগসাজশে মালিকানা জমিতে রাস্তা নির্মাণ করতে চায়, উপজেলা ইন্জিনিয়ার আলতাফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আমাকে বিভিন্ন ভাবে, হুমকি দিয়ে আসছে। তারেই জের ধরে আমার ছেলেকে পুলিশ দিয়ে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায়।