শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা’র সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও নতুন কমিটির অভিষেক সলঙ্গায় মসজিদ কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কাজিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধূর মৃত্যু  সলঙ্গায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামলী কার্ড বিতরণে অর্থ নেয়ার অভিযোগ ভাঙ্গুড়ায় কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের কাজ ইউএনওর পরিদর্শন ভাঙ্গুড়ায পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক লালমনিরহাটে ঘুষ বানিজ্যকারী নাজিরকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কামারখন্দে দরবার শরীফের সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উল্লাপাড়ায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ককে অব্যাহতি

কাশিমপুর কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হলো পাপিয়াকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ / ২০৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নিযাতনের অভিযোগে যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান।

কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে প্রায় ৪০ মাস ধরে বন্দি আছেন। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রুনা লায়লা নামে এক হাজতিকে সম্প্রতি নিযাতন করে। তার কাছ থেকে টাকা পয়সা লুট করে নেয়। এমন অভিযোগে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পরে গঠন করা হয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। তার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানে হয়েছে।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানন্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তাঁর কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তাঁর সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।

এক পর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিশ বৈঠকখানা বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানসিক নির্যাতনের প্রতিবাদও করতে পারেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর