মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

‘জুন থেকে আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চলাচল শুরু’

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশের আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত আগামী জুন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেল পথের কাজ ২০২৩ সালের মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ হবে। আর জুনের মধ্যে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। এরই মধ্যে স্লিপার, রেললাইনসহ রেলরুট নির্মাণের উপকরণ চলে এসেছে।’

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে আখাউড়া-আগরতলা রেলরুট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পটি ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। যোগাযোগ বাড়বে মানুষে মানুষে।’

এর আগে মন্ত্রী লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইন রেলরুট নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এই রেলরুটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার দুই স্থানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাধায় কাজ বন্ধ আছে। বাকি অংশে কাজ চলছে। কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা শেষে বন্ধ থাকা এলাকায় কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচবার আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এখন মাটির যে কাজ এখন চলছে এগুলো ফিনিশিং কাজ। ফিনিশিং শেষে স্লিপার ও তার উপর রেললাইন বসানো হবে। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোমি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। একই বছর কাজ শুরু হয়ে আঠারো মাসের মধ্যেই শেষ করার কথা। অত্যন্ত ধীর গতিতে কাজ চলতে থাকার কারণে এখন পর্যন্ত চতুর্থ দফায় প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।’

ভারতের নয়াদিল্লির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ অংশের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। আঠারো মাস মেয়াদী এই প্রকল্পটি প্রায় ষাট মাসেও অনেকটা গতিহীন। ধীরগতি আর করোনা অতিমারির কারণে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটির মেয়াদ।

আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত হচ্ছে নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন। এই এলাকাটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। এখানে সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। শুরুতে প্রকল্পটি পনের কিলোমিটারের ছিল। পাঁচ কিলোমিটর এলাকা কমানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর