মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

ত্রিশাল মুক্ত দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা বারী মাস্টারের কবর জিয়ারত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ / ১৫০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

দেশের প্রতি ভালবাসায় প্রিয় মাতৃভূমি কে রক্ষা করতে মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। ৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমণ চালায় থানার ঘাঁটিতে। রাতভর প্রচেষ্টার পর ৯ ডিসেম্বর ভোররাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা।

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নির্দেশনা আসে পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণ করে ত্রিশাল থানা দখলের। মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমণ করেন থানা ঘাঁটিতে। ১১ নম্বর সেক্টরের এফ জে সাব-সেক্টর আফসার বাহিনীর কমান্ডার আইয়ুব আলী, টুআইসি আব্দুল বারী মাস্টার ও ভালুকার মেজর আফসার বাহিনীর নাজিম উদ্দিন কমান্ডারের নেতৃত্বে গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। জৈমত আলী, গোলাম মোস্তফা, ছাইফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, মনিরুদ্দিন, ইয়াছিন আলী, চান তারা, জামাল উদ্দিন, আব্দুল হাই, সিরাজুল ইসলামসহ ২০-২৫ জন মুক্তিবাহিনীর কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় হানাদার বাহিনী। রাতভর প্রাণপণ লড়াইয়ের পর ওই সম্মুখযুদ্ধে ৯ ডিসেম্বর ভোররাতের মধ্যেই দখলে আসে ত্রিশাল থানা। পরে ত্রিশাল ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদাররা।

৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় নজরুল একাডেমি মাঠে তৎকালীন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জৈমত আলী মাস্টারের উপস্থিতিতে আব্দুল বারী মাস্টার স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে ত্রিশালকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মাস্টারের কবর জিয়ারত করা হয়, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, পৌর মেয়র এ বি এম আনিসুজ্জামান আনিস, সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন আকন্দ,সহকারী জেলা কমান্ডার আব্দুল হেকিম উপজেলা কমান্ডার আবদুল মান্নান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন মাস্টার,ইউপি সদস্য আলী হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া, যুবলীগের সভাপতি কায়কোবাদ আকন্দ,আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর