বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ডাকাতি, গ্রেফতার ৪ সুন্দরগঞ্জে জুয়া ও মাদকদ্রব্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দল,দলীয় প্রধানের ছবি ভাংচুর যশোরের বেনাপোলের লিটনের ১৭ বছরের সাজা জামিনের কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করায় যশোরে কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা চরহাজারীতে ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ খোকন এর রমজানের ফুড প্যাকেজ বিতরণ যশোর ঝিকরগাছার সাবেক এসিল্যান্ডকে আহত করা মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার প্রতিবাদ বেনাপোলে ধর্ষক মানুষরুপী পশুদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন মোটরসাইকেল চোরাচালানীদের ধরতে সড়ক দূর্ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য নিহত, আহত এক কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে অভিযান নারীসহ আটক- ৯

নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার

রিপোর্টারের নাম : / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

চলমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। এর বহুমাত্রিক প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। দিনমজুর, শ্রমিক, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবহন খাতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। আমদানি পর্যায়েও অস্বস্তিকর সময় অতিক্রম করছে সরকার। এ জন্য প্রান্তিক ও শহরে বসবাসকারী সীমিত আয়ের মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে আরও এক কোটি মানুষকে আর্থিক সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

গত ঈদুল ফিতরের সময় এক কোটি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল সরকার। এসব মানুষকে ফেয়ার প্রাইস কার্ড দেওয়ার কাজও চলছে। এর মাধ্যমে এ দুই কোটি মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরাসরি আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বুধবার বলেছিলেন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সার্বিক অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে, অর্থ মন্ত্রণালয় এর মূল্যায়ন করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ মূল্যায়নের মাধ্যমে যে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত হবে, অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় ফেরাতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষকে কীভাবে আরও স্বস্তি দেওয়া যায়, সে বিষয়েও সুপারিশ থাকবে এ অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে। এ কাজে সম্প্রতি যে জনশুমারি করা হয়েছে তার তথ্যও ব্যবহার করা হবে।

সূত্র জানায়, সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়িয়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিতে চায় সরকার। এ জন্য কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও এক কোটি মানুষকে এ প্রকল্পভুক্ত করা হবে। এর আগে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার। এর আগে মুজিববর্ষ ও ঈদুল ফিতরে অসহায়, দুস্থ ও অতিদরিদ্র এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। সে সময় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়।

ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টিসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দিতে উপজেলাগুলোর জন্য ৩৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভাগুলোর জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা মোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষকে বাঁচাতে এবার আরও এক কোটি মানুষকে একই রকম আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর