শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পিঠা উৎসবের আনন্দ মেলায় মুখরিত সরোবর পার্ক এন্ড রিসোর্ট! আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-১ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি

প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ হাইকোর্টের মন্তব্য

রিপোর্টারের নাম : / ২০৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

‘প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ, যারা এ কাজে জড়িত তাদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের জামিন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের জেলে থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি মামলায় ফাতেমা খাতুনের জামিন বিষয়ে রুল খারিজ করে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে ফাতেমার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরঃকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়। সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি অধ্যাপক ডক্টর এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন।

পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে

নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে গেলে তিনি ফোনে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান যে এম আবদুস সালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অনুমোদন পাননি।

এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। সেই নথিতে ডক্টর এম এনামুল হকের নামে পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন তরিকুল। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামে পাশে টিক চিহ্ন দেন তিনি। পরে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

ওই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পর আরেক দফায় তার ছেলের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন বলে মামলায় বলা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৫ মে এ বিষয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ফাতেমা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রুলটি খারিজ করে আদেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর