সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যশোরের ঝিকরগাছায় জমি দখলকারীদের হামলায় মা-ছেলে জখম বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীর জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে আবারও শামিম আটক দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বেনাপোল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন লালমনিরহাটে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫ জন রংপুরের তারাগঞ্জে সাংবাদিক নাজিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা! লালমনিরহাটের আলোচিত হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার গ্রেপ্তার-১ ‎পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে এসে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের স্বীকার জামিয়া উসমান গণী (রা.) মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় কৃতিত্ব

ফায়ার সেফটি না মানা ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান আগামী সপ্তাহে

রিপোর্টারের নাম : / ১২০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাজধানীতে ফায়ার সেফটি আইন না মানা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ অভিযানে নামবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতারের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘যে কোনও কিছু বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু আগামী সপ্তাহে আপনারা এর বাস্তবায়ন দেখতে পারবেন। প্রথমে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা অভিযানে যাবো। যেসব ভবনে ফায়ার সেফটি আইন মানা হয়নি, সে বিষয় আমরা দেখবো। আর অন্য বিষয়গুলো দেখবে নির্ধারিত ডিপার্টমেন্ট।’

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক। তুরস্কে সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দলের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।

ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে ভূমিকম্প হতে পারে বলে গত কয়েক বছর ধরে আশঙ্কা করেছে বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসে ১৪ হাজার কর্মী রয়েছে, তারা সবাই প্রশিক্ষিত। তাদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ৯০ শতাংশ উন্নত যন্ত্রপাতিও আছে। তবে বড় দুর্যোগের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই যথেষ্ঠ নয়। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সহযোগী সংস্থাগুলোসহ কাজ করছি। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, উদ্ধারের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ ও মহড়া অব্যাহত রাখছি।’

ডিজি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকা কতটা পরিকল্পিত এর উত্তর সবার কাছে আছে। বিষয় হচ্ছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটলে আমি কতটুকু তৈরি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির টার্গেট ছিল আমাদের। এরমধ্যে ৫০ হাজার তৈরি করেছি। তারা আবার অন্যদের প্রশিক্ষিত করছেন। এছাড়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ১ লাখ ৩৩ হাজার গার্মেন্টসকর্মীকেও এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।’

ঢাকায় অনেক ভবন রয়েছে যেগুলোতে প্রবেশের রাস্তা সরু। ফলে দুর্যোগের সময় উদ্ধারকর্মীদের প্রবেশে সমস্যা হয়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজির ভাষ্য, ‘ঢাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ হলে আমরা ঢুকতে পারবো কি-না সেটা বিষয় না। ঢুকতেই হবে। এজন্যই প্রশিক্ষণ। তাই এমন কিছু হলে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘বিল্ডিং কোড অনুযায়ী যেসব ভবন হয়নি, সেগুলো শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশন ও রাজউকের সঙ্গে কাজ করছি। যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ‘যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিত চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, যেটা নাই তার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর