সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার বেনাপোলে মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাবনায় গ্রেফতার আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্থানীয়রা লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান আটক! জয়পুরহাটে ওসির বদলি আদেশ ঠেকাতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে ২ টি অবৈধ ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিলো প্রশাসন  বশেমুরকৃবি’তে টিএইচই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ম স্থান অর্জন উৎসব ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত রাজশাহীতে ‘গ্রীন প্লাজা’র ষষ্ঠ প্রকল্পের উদ্বোধন কোম্পানীগঞ্জে মাঝিরটেক টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্টর ফাইনাল অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভা অনুষ্ঠিত 

বসলো প্লান্ট, সিলেটে বর্জ্য হবে সম্পদ

রিপোর্টারের নাম : / ৪৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথক্‌করণ প্লান্ট বসানো হলো সিলেট নগরের বর্জ্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। এখান থেকে প্রতিদিন ২০০ টন বর্জ্যকে পৃথক্‌করণ করা হবে। এতে করে নগরের বর্জ্য আর জমা থাকবে না।

সেগুলো প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হবে। এই প্লান্টের কারিগরি সেবা দিচ্ছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সিলেট নগরের পূর্বদিকে পারাইরচক লালমাটিয়া এলাকা হচ্ছে বর্জ্য ডাম্পিং এলাকা। প্রতিদিন নগর থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য এখানে নিয়ে ডাম্পিং করে রাখা হয়। এতে করে ওই এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। এলাকার পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিকল্প ভাবা হচ্ছিলো। তখন মেয়র ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট নগরের সংগৃহীত বর্জ্যকে তিনি সম্পদে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নেয়া হয় প্রকল্পও। প্রায় দু’বছর আগে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি কাজও শেষ হয়েছে। তবে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজ শেষ হলে প্লান্টের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার দু’দিন পরীক্ষামূলক ভাবে প্লান্টটি চালু করা হয়েছিল। সবকিছু টিকটাক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন- নগরের বর্জ্য ডাম্পিং এলাকায় প্রায় ৮-৯ লাখ টন বর্জ্য পড়ে আছে। প্রথমে এই বর্জ্যগুলোকে পৃথক্‌করণের কাজ শুরু করা হবে।

পাশাপাশি এখন থেকে প্রতিদিন যেসব বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে সেগুলোকে পৃথক্‌করণ করা হবে। এতে করে জমে থাকা বর্জ্য সম্পদে পরিণত করতে কয়েক মাস সময় অতিবাহিত হতে পারে। ওই এলাকায় যাতে উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না থাকে সে ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে। এদিকে- গতকাল শনিবার লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই প্লান্টের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। এ সময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশন এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথক্‌করণ প্লান্ট। এই প্লান্টের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে।

এই প্লান্টটি চালুর ফলে সিলেট মহানগরের প্লাস্টিক বর্জ্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছে সিসিক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রকল্পের উদ্বোধনকালে জানিয়েছেন- ‘প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। পুরো পৃথিবীই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- ‘সিলেট সিটিকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত নগরে রূপান্তর করা আমার অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যেই আমরা লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। সিলেটবাসীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমান। আর যেখানে- সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করবেন না। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সিলেটকে দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত মহানগর গড়তে চাই।’ লাফার্জ সুরমা হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন- এ প্রকল্পের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এতে করে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন বর্জ্য পৃথক্‌করণের পাশাপাশি পুরাতন বর্জ্যও পৃথক্‌করণ করা হবে। এটা দেশের মধ্যে প্রথম কোনো নগরে চালু হলো। এতে সিলেটের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র: মানবজমিন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর