বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ-থানায় অভিযোগ দায়ের!

লালমনিরহাটের সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোরাগাছ এলাকায় লাভলী বেগম (ছদ্ধনাম) নামে এক নারীকে দীর্ঘদিন থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল ভ্যান্ডারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল ভ্যান্ডার একই এলাকার মৃত বাচ্চা পাটোয়ারীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাভলী বেগমের (ছদ্মনাম) স্বামী দীর্ঘ দিন থেকে অভিযুক্ত মোজাম্মেল ভ্যান্ডারের জমি বর্গা চাষ করতো। সেই সুবাদে লাভলী বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মোজাম্মেল ভ্যান্ডার। তখন থেকে বিয়ে করার কথা বলে লাভলী বেগমকে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে মোজাম্মেল ভ্যান্ডার। একপর্যায়ে লাভলী বেগম মোজাম্মেল ভ্যান্ডারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি টালবাহানা করতে থাকে।
সেই সূত্রপাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুরে পুর্বের ন্যায় মোজাম্মেল ভ্যান্ডার লাভলী বেগমকে বিয়ে করবে বলে পুনর্রায় ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে লাভলী বেগম বিয়ের দাবী জানায়। মোজাম্মেল ভ্যান্ডার বিয়ে করবো না বলে জোর করে লাভলী বেগমকে তার ঘরে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। লাভলী বেগমকে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো।
অতপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারী লাভলী বেগম অভিযুক্ত মোজাম্মেল ভ্যান্ডারের বাড়ি গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ভাই ২ ও ৪ নং অভিযুক্ত একরামুল পাটোয়ারী, ও নুর পাটোয়ারীকে বিষয়টি অবগত করলে তারা লাভলী বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করে আহত করেন।
ভুক্তভুগী লাভলী বেগম বলেন, মোজাম্মেল ভ্যান্ডার এ ভাবে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমি তার সঠিক বিচার চাই। আমার মতো আর কোন মেয়ের জীবন যেন নষ্ট না হয়।
ওই এলাকার আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, মোজাম্মেল ভ্যান্ডারের নামে একাধিক অভিযোগ। কিছুদিন আগেও এলাকায় তার সাথে এক নারীর ঝামেলা হয়েছে। সে বিষয়টিও এলাকায় সীমাংসা করা হয়েছে। এবার আমরা তার সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল ভ্যান্ডার মোবাইল ফোনে বলেন, এ গুলোর আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।