শিরোনামঃ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে মমিনুর দম্পতির শোকজের ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি! শার্শায় ওষুধ ফার্মেসীতে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত  বেতাগীতে গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সিরাজগঞ্জ জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মৌসুমী বন্যায় আগাম সাড়াদান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শার্শায় মাদক মামলায় একজনের ৭ বছরের জেল প্রচার-প্রচারের শেষ দিনে সিরাজগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের ব্যাপক শোউন ও ভোট প্রার্থনা অবশেষে শার্শা-বেনাপোলে দেখা মিলল কাঙ্খিত বৃষ্টি অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল

ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম

কলমের বার্তা / ১১৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

আমদানি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বেড়ে যায় ডলারের চাহিদা। ফলে দেশে ডলারের সংকট দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে ডলারের দামে। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় সরকার। তবে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ না থাকায় খোলাবাজার থেকে কিনতে থাকেন ক্রেতারা। এ সুযোগে খোলাবাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে ডলারের দাম। মূলত খোলাবাজারে সিন্ডিকেটের হাতেই ছিল ডলারের লাগামহীন দর। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই উচ্চমূল্যে ডলার কেনেন।

ডলারের সংকটও আরও বাড়িয়ে তোলে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর যোগসাজশে পরিস্থিতি আরও অস্থির করে তোলে তারা। কারসাজিতে জড়িত থাকার দায়ে ছয়টি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠিও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সুযোগসন্ধানী ব্যাংকার ও দালালচক্রের কারণে ৯৫ টাকার ডলার ১১৮ টাকায় কিনতে বাধ্য হন সাধারণ ক্রেতারা।

ডলার, ইউরো ও পাউন্ড কেনাবেচায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে  একাধিক চক্র। এ চক্রটি রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, গুলশান এলাকায় এক্সচেঞ্জ হাউজের সামনে অবস্থান নিয়েই অবৈধভাবে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলেই সটকে পড়েন তারা। কিছুক্ষণ পরই আবার ফিরে আসেন একই স্থানে। এভাবে দিনভর চলছে রমরমা ব্যবসা, যাতে পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

এদিকে, ডলার নিয়ে কারসাজিতে গড়ে ওঠা চক্রকে ধরতে তৎপর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তবে দালালদের দৌরাত্ম্য থামেনি। ক্রেতারা এক্সচেঞ্জ হাউজে যাওয়ার আগেই দালালচক্র তাদের ফাঁদে ফেলেন। বিভিন্ন প্রলোভনে তাদের কাছে ডলার বিক্রি করেন। অভিযোগ রয়েছে, দালালচক্রের সদস্যদের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ হাউজের মালিক ও কর্মচারীদের যোগাযোগ রয়েছে।

এই অবস্থায় সংকট নিরসনে রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড় করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টান পড়েছে রিজার্ভে। রিজার্ভ কমে এখন ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

খোলাবাজারে ডলারের লাগামহীন মূল্য নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ব্যাংকগুলোকে ডলার কেনাবেচার সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে মানি এক্সচেঞ্জ যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। এছাড়া বাংক বিক্রি করবে এক টাকা বেশি দরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপে এখন উল্টো পথে খোলাবাজারের ডলারের দাম। মঙ্গলবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ১১৪ টাকা ছিল। দুইদিনের ব্যবধানে তা কমে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ১০৮ থেকে ১০৯ টাকায় নেমে এসেছে।

খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপের কারণে বাজার বাড়ি খেয়েছে (দাম কমে গেছে)। যেভাবে টাকার মান বাড়ছে অর্থাৎ ডলারের দাম কমছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ১০৫ টাকায় নেমে আসতে পারে।

রাজধানীর পল্টন এলাকায় খুচরা বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রেতা ইসরাফিল জানান, এখন প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। ব্যবসার পরিবেশ নেই। এরপরও কিছু বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু সে অনুপাতে ক্রেতা নেই। এখন ডলার সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে।

আবু ইউসুফ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের অবস্থা বুঝে কিছু (ডলার) কিনে রেখেছিলাম। এখন ডলারের মান হারাচ্ছে, ক্রেতা নেই। বাজারে এখন ডলারের ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। আজ ১০৯ টাকাতেও ক্রেতা নেই, অথচ আমার ১১৩ টাকায় কেনা রয়েছে। এভাবে দাম কমলে আগামী সপ্তাহে ১০৫-১০৬ টাকায় নেমে আসবে।

এদিকে, আন্তঃব্যাংকে এখন প্রতি ডলার ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ দামেই ডলার কিনছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই রিজার্ভ থেকে ছাড়া হচ্ছে। আশা করছি কম সময়ের মধ্যেই ডলারের (সংকট) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

এদিকে, ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে দেশি–বিদেশি ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ব্যাখ্যা তলব (নোটিশ) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ্–বাংলা, সাউথ ইস্ট, প্রাইম, দি সিটি, ব্র্যাক ও বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

বুধবার (১৭ আগস্ট) এসব ব্যাংকের এমডিদের এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিযোগে এসব ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

72


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর