সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বেধড়ক পিটিয়ে রেজাউল নামের একজনকে জখম বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু সিরাজগঞ্জে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় মাটির রাস্তা ভরাট কাজের উদ্বোধন র‌্যাবের অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন পাচারকারী গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ‎ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ১০ জন আটক বুড়িমারী স্থলবন্দরে ট্রাক ট্রাংলরী থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি মাসুদ খন্দকারের বাসায় হামলার প্রতিবাদে ভাঙ্গুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কোন দল নেই,জিএমপি কমিশনার

মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রাক-ট্যাংকলরী-কাভার্ড ভ্যান-শ্রমিক ইউনিয়নে চলছে নৈরাজ্য!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: / ১১৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

লালমনিরহাট ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নে ২৪ মাস মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নির্বাচন ছাড়াই শ্রমিকনেতার দাপট আর টালবাহনায় হচ্ছে না নির্বাচন। দীর্ঘ ২৬ বছর এ শ্রমিক ইউনিয়নে হচ্ছে না কোন নির্বাচন। তারমধ্যে দলীয় প্রভাবেই বার বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ-কে নির্বাচন করা হচ্ছে বলে জেলায় কমর্রত সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

ফলে রংপুরের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছেন।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে লালমনিরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গঠিত হয়। যার রেজিঃ নং-রাজ ২৪৯৪। ওই সালে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের শ্রম কর্মকর্তা আলমুতাজিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত গঠনতন্ত্রে লালমনিরহাট জেলার সকল উপজেলার ট্রাক, ট্যাংকলরী, মিনিট্রাক (পিকআপ) ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিকরা এই ট্রেডের ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি হবে ৩ বছর মেয়ার্দী এবং সদস্য সংখ্যা থাকবে ১২ জন। তাই বছরের পর বছর ধরে দলীয় প্রভাবের কারণে বার বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন। যার কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ গত ২১ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে।

লালমনিরহাট ট্রাক, ট্যাংকলরী, মিনিট্রাক (পিকআপ) ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আউয়াল হোসেন, মনছুর আলী ও রাশিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ইউনিয়নের সদস্য ১ হাজার ৮০ জন রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই সদস্য পান দোকানদার, মুদি দোকানদার, সাইকেল মেকার, বেকার ভভঘোরা যুবকদের নিয়ে সদস্য করেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হয়।

ভাল-মন্দ মিলে শ্রমিক ইউনিয়নের একজন শ্রমিকও কোনদিন ব্যালট ভোট বা হ্যাঁ না ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ৩ বছর পরপর সাধারণ সভা ডেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ সহ ১২ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। একই ব্যাক্তিকে একই পদে বার বার নির্বাচিত করায় বয়স্ক ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান পরিবহনের শ্রমিক সদস্যরা বিভিন্ন দুর্ঘটনার পঙ্গুত্ব ও কর্মে অক্ষমতা এবং মৃত্যুতে এককালীন অনুদান সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবে পাননা।

অথচ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নামে জেলা জুড়ে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছিল চাঁদা আদায়। সাধারণ শ্রমিকদের বঞ্চিত করে লাখ লাখ টাকা লুটপাট সহ শ্রমিক ইউনিয়নের একক আধিপত্য বিস্তার করেন সভাপতি/সম্পাদক বিভিন্ন প্রতিষ্টানের মালিক হয়ে বনে গেছেন। ফলে সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন কোরবান আলী গংরা।

গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী কোন মালিকপক্ষ শ্রমিক নন, মালিক হয়ে শ্রমিকের কাতারে দাড়াটা কতটুকু গঠনতন্ত্র সম্মত হয় এটি বিবেচনার বিষয়। সম্প্রতি সময়ে তারা আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ শুরু করছেন।

একটি বিশ্বাস্য সুত্রে জানান, লালমনিরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ সভাপতি/সম্পাদক সহ পুরো কার্যনির্বাহী পরিষদ এখন সাধারণ সদস্য। অথচ মেয়াদ উত্তীর্ণ সভাপতি বাবু পুলিন চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ-এর কারণে শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি হচ্ছে না।

সভাপতি/সম্পাদকের সাথে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের শ্রম কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কর্মকর্তার সাথে গভীর সক্ষতা রয়েছে। কেউ সাধারণ সভা আহবান করেন আবার কেউ স্থগিত করেন। ঠিক তেমনি রাতের আধারে চলে দু’জনের হিসাব-নিকাশ। এবারে নাটক শুরুর আগেই সাধারণ শ্রমিকরা নাটকের কাহিনী বুঝে গেছেন। তারা দু’জনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে চান।

সমস্ত সাধারণ শ্রমিকদের দাবী, যেই নেতা নির্বাচিত হোক না কেন। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর