সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জের মজুমদারহাটে পিকআপ ভর্তি চাল জনতার হাতে আটক লালমনিরহাটে টিনের চালা কেটে দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি! কাজিপুরে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন; পুড়ে ছাই ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বন্ধুরাষ্ট্রের দ্রুত সহযোগিতা দরকার

রিপোর্টারের নাম : / ১৫৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বন্ধুরাষ্ট্রের দ্রুত সহযোগিতা দরকার। না হলে মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশ সংকটে পড়বে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মাদক, অস্ত্র চোরাচালানসহ সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ‘রোহিঙ্গা ও নার্কো টেরোরিজম’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে ডিপ্লোমেটস পাবলিকেশন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক বলতে ইয়াবা বাংলাদেশে তৈরি হয় না। কিন্তু এর চোরাচালান হচ্ছে বাংলাদেশে। ইয়াবা তৈরি হচ্ছে মিয়ানমারে। অথচ এর ভিকটিম বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের বাহক ও চোরাচালানকারী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাদকের হাব হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গা এলাকাকে।

কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে কীভাবে কী পরিমাণ মাদকের চোরাচালান বেড়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। তাতে তিনি ধারাবাহিকভাবে মাদক চোরাচালান বাড়ার তথ্যই তুলে ধরেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানা আঙ্গিকে বাড়তি চাপ ও ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, সীমান্ত নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্য। মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের ভার বহন করতে গিয়ে এই চাপ নিতে হচ্ছে। কোনো ধরনের মাদক উৎপাদন না করেও বাংলাদেশই এর ভুক্তভোগী। তাই সহসা রোহিঙ্গা সমস্যার সংকট নিরসনে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মাদক চোরাচালান, অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে সীমান্তে। রোহিঙ্গা এলাকায় বেড়েছে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের সংখ্যাও। সিনথেটিক ড্রাগস আসছে সীমান্ত দিয়ে। যেখানে বাহক হিসেবে কাজ করছে রোহিঙ্গারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে অস্ত্র চোরাচালান। চোরাচালানের কেন্দ্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে। পুলিশ ছাড়াও সেখানে নিয়োজিত আনসার, বিজিবি, এপিবিএন ও সেনাবাহিনী অপরাধ দমন ও অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

পরাষ্ট্রসচিব বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের ফলে রোহিঙ্গা মানবপাচারের ঘটনা কমবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রায় ৫০ শতাংশই শিশু। যাদের অনেকে সন্ত্রাসবাদ, মাদক চোরাচালানে জড়াচ্ছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ম্যাকানিজমে ঘাটতি আছে। আসিয়ানকে কার্যকর করা যেতে পারে। আসিয়ানে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরতে হবে।

মিয়ানমারই রোহিঙ্গা ক্রাইসিস তৈরি করেছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল এর সমাধান করা। আমরা প্রত্যাশা করব মিয়ানমার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, সৌদি রাষ্ট্রদূত, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখওয়াত হোসেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর