লালমনিরহাটে ভাবিকে ধর্ষনের অভিযোগ দেবর সেনা সদস্যর বিরুদ্ধে
![](https://kolomerbatra.com/wp-content/uploads/2023/07/prothomalo-bangla_2020-09_70a553b5-59eb-44ba-8371-2e733b7cd3ee_lalmonirhat-700x390.png)
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিচার চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মমেনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ।
অভিযুক্ত সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী কানিপাড়া বাবুরটারী গ্রামের আব্দুর রজ্জাকের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন। বাদি মমেনা খাতুন সাইফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগে প্রকাশ, চাকুরী থেকে ছুটিতে বাড়ি আসলেই সাইফুল ইসলাম তার ভাবি মমেনা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে তাকে সতর্ক করেন। কিন্তু তার আচরনের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে স্বামী কাজের জন্য বাহিরে থাকায় মমেনা খাতুন একা বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে বাড়ির ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে ঘরে ঢুকে মমেনাকে জোর পুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে শুক্রবার সেনা সদস্য সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ মমেনা খাতুন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেনা সদস্য সাইফুল ইসলামের এমন কুকর্ম ও কু প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় আশরাফুলের প্রথম স্ত্রীকে রুমি বেগমকে তালাক দিতে বাধ্য করান। রুমি বেগম সাইফুলের এমন অত্যাচারে স্বামীর সংসার ছেড়েছেন। সেই রুমির রেকে যাওয়া মেয়ে (১৪) এর সাথেও দুর্ব্যবহার করেন সাইফুল ইসলাম। সেনা সদস্য হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এমন কুকর্ম করছেন বলেও দাবি স্থানীয়দের।
আশরাফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী রুমি বেগম মোবাইলে বলেন, সাইফুলের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আশরাফুলের সাথে আমার সংসার টিকে নি। সাইফুল আমাকে তালাক দিতে আমার স্বামীকে বাধ্য করেছে।
মমেনা বেগম বলেন, কু প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকেও তালাক করানোর হুমকী দিয়েছিল। এর আগেও একদিন গোসল খানায় আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। যার বিচার হলে বৈঠকে ক্ষমা চেয়েছিল। ক্ষমা চেয়ে আবার রাতে আমার ঘরে ঢুকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাইয়ের অপকর্মের কারনে প্রথম স্ত্রীকে হারিয়েছি। বর্তমান স্ত্রীর উপরও তার খারাপ দৃষ্টি পড়েছে। এবার থানার আশ্রয় নিয়েছি।
সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মমেনার চিৎকার চেচামেচি শুনে বাহিরে বের হয়েছি। তবে সাইফুলকে তখন দেখি নি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।