এরই মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুদের সঙ্গে জাহাজ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সেই ধারা অব্যাহত রেখে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে চান মালিক পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরকারি সূত্র বলছে, জাহাজের মধ্যে থাকা বিপুল পরিমাণ কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সেখানে এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়।
জাহাজ মালিক কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস. আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেরুল করিম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। জাহাজ থেকে শুক্রবার নাবিকরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই সুস্থ আছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি বলেছে, ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় নৌবাহিনী। গাল্ফ অব এডেনে ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযান নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এই বার্তা দেন।
অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নামে ভারত মহাসাগরের নামকরণ হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা না নিলে, আর কে নেবে।’
প্রসঙ্গত, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। তখন থেকে চার দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি এখন সোমালিয়ার সাগরসৈকত থেকে পৌনে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।