শিশু-কিশোরদের মানবিক পরিবেশে গড়ে তুললে তারা রাষ্ট্রের সম্পদ হবে: প্রধানমন্ত্রী

বাজারে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মে কাঁচা আম খেলে শরীর শুধু সুস্থই থাকে না অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতেও পারবেন। কাঁচা আম শরীরে পানি সরবরাহে সাহায্য করে, যা হজমের জন্য অপরিহার্য। নিয়মিত কাঁচা আম খেলে পেটের নানা সমস্যাও দূর হয়। কাঁচা আমে ভিটামিন এ, সি এবং ই ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। গ্রীষ্ম ঋতু সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যের উপর, এ কারণে খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। কাঁচা আম স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
কাঁচা আম এমনিতেও খাওয়া যায়। আবার সাধারণ বা বিট লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া খুবই উপকারী।
কাঁচা আম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. মসলাদার খাবার খেলে প্রায়ই পেটে অ্যাসিডিটি হয়। আপনি যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে বিট লবণ দিয়ে কাঁচা আম খান। এতে খাবার সহজে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস তৈরি হবে না। কাঁচা আম খেলে ওজন কমতে পারে। তাই পেট যদি বাড়তে থাকে তাহলে কাঁচা আম খান। এতে কিছু দিন পর শরীরে পরিবর্তন দেখা যাবে। আপনার যদি গ্যাস বা বদহজমের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে কাঁচা আম খাওয়া খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং পেটের সমস্যা মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।
২. গ্রীষ্মকালে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়া গরমে শরীরে পানি সরবরাহের জন্য ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে। করোনার সময় এবং গ্রীষ্মে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে কাঁচা আমের বিকল্প নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৪. কাঁচা আম শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে আয়রন সরবরাহ করতেও ব্যবহৃত হয়। এ কারণে খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৫. কাঁচা আম শরীরে পানি সরবরাহে সহায়ক, যা হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে অ্যাসিড থাকায় গরমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়। এতে থাকা পেকটিন সাধারণ পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেট খারাপ, পাইলস, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় সাহায্য করে।
৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিয়মিত আম খেতে পারেন। এটি ত্বককে দাগহীন ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
৭. অতিরিক্ত ঘামের সমস্যায় কাঁচা আমের শরবত খেতে পারেন।
৮. একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কাঁচা আম খেতে পারেন। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম আম খাওয়া ভালো।