১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। টানা ১৫ বছরে দেশের অভূতপুর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার আগে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কোবদাসপাড়া পুনর্বাসন স্কুল মাঠে দলীয় নেতাকর্মীসহ জনগনের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিকেল চারটা থেকে শেহেরিন সেলিম রিপন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেটে শহরের জানপুর বটতলা, বটতলা মোড় ও রানীগ্রাম পুরাতন রেলগেট মোড়ে সরকারের উন্নয়ন সম্বলিত লিফলেট বিতরন করেন।

এসময় সাধারন জনগনের সাথে করমর্দন করে শেখ হাসিনার সাফল্য তুলে ধরে শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর বড় নাতি ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে বলেন, বর্তমান সরকারের সময় সিরাজগঞ্জ জেলায় যে উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে তা বিগত সময়ের চেয়ে হাজারো গুন বেশি। বেকার সমস্যা সমাধানে ইকোনমিক জোন ও শিল্পপার্ক, নির্মান হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যমুনার উত্তাল বুকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মান হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৫’শ শয্যা বিষ্টি শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল নির্মান হয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকি ও আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যমুনার করাল গ্রাস থেকে জনপদ রক্ষায় হাজারো কোটি টাকা ব্যয়ে নদী তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। যোগাযোগ সহজতর করতে আঞ্চলিক নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আর সবই হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বেও কারনে।

এ জন্য আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে আবারো বিজয়ী করতে উদ্ধাত্ত আহবান জানান। গনসংযোগকালে আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, গোলজার হোসেন, শরীফ হোসেন, যুবলীগ মুরাদ হোসেন, আকমল হোসেন, নেতা মিলন সেখ, মো. শাহিন, আব্দুল হাই, আমিনুল ইসলাম ও আব্দুস সামাদসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।