ষষ্ঠ ও সপ্তমের সব বই সংশোধন করছে এনসিটিবি

২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির তিনটি বইয়ের সংশোধনী দেওয়ার কথা জানিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে এখন তারা জানিয়েছে, এ দুই শ্রেণির সব বইয়েরই ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেওয়া হচ্ছে। চলতি রমজান মাসেই সংশোধনীগুলোর সফট কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা তা হাতে পাবে ছুটি শেষে ঈদের পর।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরই পাঠ্যপুস্তকের ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। সেসময় এনসিটিবি জানিয়েছিল, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়েরও কিছু অধ্যায় সংশোধন করা হবে। তিনটি বইয়ের সংশোধনী ‘শিগগিরই’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো হবে; কিন্তু মার্চ শেষ হলেও সংশোধনী দিতে পারেনি এনসিটিবি।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, তিনটি নয়, সব বইয়ের ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। আমরা ২৬ জেলার ৫৩টি স্কুল থেকে তথ্য নিয়েছি। আমাদের লেখক প্যানেলও তাদের বই সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধারণা নিতে নিকটবর্তী স্কুল পরিদর্শন করেছে। লেখক ও বিশেষজ্ঞরা ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩টি এবং সপ্তম শ্রেণির ১৩টি করে মোট ২৬টি বই সংশোধন করছেন। বইগুলো সংশোধনের শেষ পর্যায়ে আছে। বানানসহ তথ্যগত ভুল সংশোধন করা হচ্ছে। এরপর মাউশির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংশোধনীর সফট কপি পাঠানো হবে। আমরা রমজানের মধ্যেই সংশোধনীগুলো স্কুল পাঠিয়ে দিব।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই আরও পরিমার্জন করে দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের বইয়ে এমন কিছু তথ্য আছে, যা ভুল নয়, কিন্তু ২০২৪ সালের জন্যও প্রযোজ্য নয়। এমন কিছু কনটেন্ট বাদ যাবে আর কিছু সংশোধন করা হবে। সেগুলোর কাজও আমরা শুরু করেছি।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যবইয়ে সংশোধনীর জন্য ২০, ২১ ও ২২ মার্চ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কর্মশালা হয়েছে। এরপর প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ৬ জন করে একটি দল গঠন করা হয়। তারা পাঠ্যবইয়ে অসংগতি, অসামঞ্জস্য, দুর্বোধ্যতা, বইয়ের মান ইত্যাদি বিষয়ে তাদের মতামত জানায়। তাদের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে ২৭-৩১ মার্চ আবাসিক কর্মশালা হয়। সেখানে লেখকরা পরিমার্জনের কাজটি করেন।