মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা উল্লাপাড়ায় বোরো ধান কাটার উৎসব গরমে পুড়ছে যশোর বেনাপোলে ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কাজিপুরে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রাথমিকের বই বিদ্যালয়ের বিক্রি  ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কলেজে ভাংচুর ও লুটপাটের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নেতা কর্তৃক বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ৬৫ বছর পর মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধার উল্লাপাড়ায় গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার

সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ হয়েছে

রিপোর্টারের নাম : / ১০৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমাদের বিদেশি বন্ধুরা এটা বুঝতে নাও পারেন। কন্যা মানে কন্যা। বিশ্বে কোটি কোটি কন্যা আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা—এটি তাঁর অহংকার। দয়া করে এই উত্তরাধিকারের বিষয়টি অনুধাবন করুন।’

‘বাংলাদেশ অ্যাট দ্য ক্রসরোড : ইন কনভারসেশন উইথ মো. শাহরিয়ার আলম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, নির্বাচন, বিদেশি চাপ, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর, চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই), প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন দিক উঠে আসে।

ঢাকার একটি হোটেলে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে পত্রিকাটির নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেনও বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকায় বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিক, ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাইনুল আলমসহ সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পরিপক্ব। তবে অন্যান্য যেকোনো সম্পর্কের মতো এখানেও কিছু অস্বস্তিকর উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তিকর বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত না দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্যা প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা আছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে একটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে। এটি সমস্যার একটি বড় উৎস। এর সমাধান খুনিকে ফেরত পাঠানো।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা। কানাডায়ও বঙ্গবন্ধুর আরেকজন খুনি আছে। কিন্তু সেখানকার বিষয়টি ভিন্ন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফেরত না পাঠানোর বিষয়ে তাদের (কানাডা) একটি আইন আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে সে রকম কোনো আইন নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, ওই নীতির যথেচ্ছ ব্যবহার হবে না। ভিসানীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, পুলিশ, প্রশাসন এবং যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, তাদের দেখে নেওয়া হবে এবং এটি বড় ধরনের হুমকি। আমি আশা করব, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি বিবেচনা করবে। তবে আমরা আশা করি, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রশ্নে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টি আদালতের রায়ে শেষ হয়ে গেছে। আমরা সেটিতে ফিরে যাব না।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি করাটা এখন হবে অবৈধ এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যুক্তি দেখি না।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের পর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। আমি এমন কিছু দেখি না, যার কারণে সামনের বছরগুলোতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।’

নিষেধাজ্ঞা এলে ব্যবসা ও বাণিজ্যের কোনো ক্ষতি হয় কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশ আরেক দেশের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মুহূর্তেও বাণিজ্য বন্ধ করেনি। এটি যদি সত্যি হয়, তবে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে বাণিজ্যকে কেন জড়িয়ে ফেলা হবে।’

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা রাজনৈতিকভাবে যোগাযোগ করছি। ২০২১ সালের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে। এ ছাড়া যে আইনি প্রক্রিয়া আছে তা বাংলাদেশ অনুসরণ করছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চীন যাবেন কি না জানি না। একটি বন্ধু দেশে তিনি যেতেই পারেন। আমরা বিভিন্ন দেশে যেতে পারি নির্বাচনের আগে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া নির্বাচনের কারণে থেমে থাকবে না। সফরই দেশের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসে।’

চীনা উদ্যোগ জিডিআইতে বাংলাদেশ যোগ দিচ্ছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডে (বিআরআই)’ যুক্ত হয়েছে। আরো অনেক দেশ এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু জিডিআই নতুন উদ্যোগ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বলার মতো কিছু নেই। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংকট সমাধানে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তিনি এ ব্যাপারে বড় বড় দেশগুলোর সহযোগিতাও আশা করেন।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা মানে এই নয় যে আমরা কোনো কৌশলগত জোটে যুক্ত হয়ে গেছি। প্রতিরক্ষা চুক্তি মানে এই নয় যে আমরা কারো সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করব।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না এবং যুদ্ধ করবে না। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আঘাত এলে, সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে, সেটিকে প্রতিরোধের জন্য আমাদের সরঞ্জাম লাগবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা আছে। এটি শেষ হওয়ার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনছে বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ বড় ধরনের কোনো সরঞ্জাম কিনবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর