বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ছে সরকার

রিপোর্টারের নাম : / ৫৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বন্ড ছেড়ে বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে সরকার। আর্থিক সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে সরকারের বকেয়া দাঁড়িয়েছে অনেক। তাই প্রথমবারের মতো বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর (আইপিপি) বকেয়া পাওনা পরিশোধ শুরু করেছে সরকার। ইতোমধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে বেশকিছু বিদ্যুৎ কোম্পানির পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যুৎ কোম্পানির বকেয়া পাওনা বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এতে সরকারকে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে হবে।

জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি বন্ড ইস্যু করেছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানির পাওনা মেটাতে পূবালী ব্যাংক ও দ্য সিটি ব্যাংককে এই বন্ড দেওয়া হয়েছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে যেসব বিদ্যুৎ কোম্পানির (আইপিপি) দেনা পরিশোধ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সামিট পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, আনলিমা পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, লাখধানাভী পাওয়ার, বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার ও এনার্জিপ্যাক।

অর্থ বিভাগের ট্রেজারি অ্যান্ড ডেট ম্যানেজমেন্ট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে সব আইপিপির বকেয়া পাওনা বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এতে সরকারকে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে হবে। গত ২৪ জানুয়ারি সিটি ব্যাংকের অনুকূলে এক হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৮ কোটি টাকার বন্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি বন্ডের মেয়াদ ১০ বছর এবং সুদহার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো রেটের সমান, যা বর্তমানে আট শতাংশ।

বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, যেসব স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্যের বিপরীতে কার্যকরী মূলধন রয়েছে, ওইসব ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালয় সমর্থিত বন্ড ইস্যু শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) যে পরিমাণ ভর্তুকি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পায়নি, ওই পরিমাণ বন্ড ছাড়া হবে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের কাছে আইপিপিগুলোর পাওনা এভাবে বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করার কাজ শুরু হলো। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বকেয়া পাওনা পেতে শুরু করায় আইপিপিগুলো সন্তুষ্ট। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পিডিবি মাসিক বিল নিয়মিত করবে এবং চুক্তি অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ শুরু করবে, যাতে আইপিপিগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

আইপিপিগুলোর বকেয়া এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এজন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।

অবশ্য আইপিপি ও সারের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধ করতে আগে থেকেই বন্ড ইস্যুর উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ বিভাগ। গত ৪ জানুয়ারি প্রথম দিন তিন হাজার ৩১৬ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ইস্যু করে সার আমদানির বকেয়া পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে পাঁচ ব্যাংকের অনুকূলে সার খাতের ভর্তুকি বাবদ সাত হাজার কোটি টাকার বেশি বন্ড ইস্যু করেছে সরকার। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংককে দুই হাজার ৫৫৭ কোটি, জনতা ব্যাংককে এক হাজার ৮৯৬ কোটি, ইসলামী ব্যাংককে দুই হাজার কোটি, আইএফআইসি ব্যাংককে ৪৫৯ কোটি এবং সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর