অবশেষে শার্শা-বেনাপোলে দেখা মিলল কাঙ্খিত বৃষ্টি
মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:- তীব্র তাপদাহের পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মিলল যশোর জেলার শার্শা উপজেলা সহ বেনাপোল বন্দর এলাকায়। এই স্বস্তির বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি এসেছে মানুষের মনে। টানা একমাস তীব্র গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে জনজীবণ।
সোমবার (৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টা থেকে অত্র এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। সন্ধ্যার পর মেঘের সামান্য গর্জণ এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির গতিতে তীব্রতা না থাকলেও সামান্য দমকা হাওয়াতে এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান।
গত সপ্তাহে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। দেশের কয়েকটি বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সাময়িক ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, দোকানি ও মোটরসাইকেল চালকরা। ব্যস্ততম বন্দর এলাকায় রাস্তার পাশে “থ” হয়ে দাড়িয়ে আছে চালকবিহীন ইজিবাইকগুলো।
প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনরাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমেনি। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়। গত কয়েকদিন আগে যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৫ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল।
সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে “আল্লাহপাক” আমাদেরকে বৃষ্টি উপহার দিলেন। মহান “রাব্বুল আলামিন” এর দরবারে লাখো,কোটি শুকরিয়া জানায়।