বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের  পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুড়িগ্রামে ‘’ফ্রেন্ডশিপ ডিসএবিলিটি প্রোগ্রাম’’ এর এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়িতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ লফস’র আয়োজনে খেলার মাঠ,পার্ক ও উম্মুক্ত স্থানের বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক আলোচনা সভা সলঙ্গায় ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত যুবক কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বধোন  সিংড়ায় সহপাঠীর আঘাতে স্কুলছাত্র নিহত নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএসটিআইয়ের অভিযানে দুই বেকারি কারখানাকে জরিমানা লালমনিরহাটে কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে সংঘর্ষ; যুবলীগ নেতা আটক! লালমনিরহাটে ডাকাত দল গ্রেফতার!

আলোচনায় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা

রিপোর্টারের নাম : / ৮৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩

মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে সরকারি চাকুরেদের কিছুটা স্বস্তি দিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে আপাতত তাঁদের জন্য নতুন পে স্কেল (বেতন কাঠামো) দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। গতকাল বুধবার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করতে গণভবনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। আগামী রবিবার আবারও আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে করের আওতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদে ১ জুন আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রেওয়াজ অনুযায়ী, বাজেট চূড়ান্ত করার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজেট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা নেওয়া হয়। বৈঠকের পর গণভবনে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।

সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেটসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ বছর পর একটি নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করার কথা থাকলেও ২০১৫ সালের জুলাই মাসে অষ্টম পে স্কেল কার্যকর হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর জুলাইয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল বেতন কমিশনের। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়। কিন্তু ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশই রয়ে গেছে।

এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই এ বাজেটকে নির্বাচনী বাজেটও বলা যায়। এ বাজেটে আট বছর পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে নতুন পে স্কেল নয়, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ১২ মে গণভবনের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বাজেটের অভ্যন্তরীণ উৎস নিয়ে দিকনির্দেশনা নেওয়া হতে পারে।

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকটি মে মাসের শুরুর দিকে হলেও প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় এবার কিছুটা পিছিয়ে করা হচ্ছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বাজেট প্রস্তুতিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী বা কেউ যদি আলোচনাটি উত্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী যদি তাতে সম্মতি দেন, তাহলে কত টাকা বাড়তি লাগতে পারে, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে অর্থ বিভাগ। বাজেটের পর আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবে সরকার। এর আগে যে কটি পে স্কেল ও মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে তা বাজেট ঘোষণার দু-তিন মাস পর ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা যে মাসেই হোক না কেন তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজেটে এ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয় না। অন্য একটি খাত থেকে থোক বরাদ্দ এনে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মহার্ঘ ভাতা দিতে কত টাকা প্রয়োজন : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি চাকরিজীবী ১৪ লাখের কিছু বেশি। স্বায়ত্তশাসিত, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ এই সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। এসংখ্যক কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বেতন-ভাতার জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৭৩ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা। আসন্ন অর্থবছরে বেতন-ভাতা খাতে ৭৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মহার্ঘ ভাতা শুধু মূল বেতনের ওপর দেওয়া হবে। সে হিসাবে সবাইকে ১০ শতাংশ হারে দিলে চার হাজার কোটি টাকা, ১৫ শতাংশ হারে দিলে ছয় হাজার এবং ২০ শতাংশ হারে দিলে আট হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে। যেহেতু মহার্ঘ ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয় না, ফলে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্য কোনো ভাতার হেরফের হবে না।

মহার্ঘ ভাতায় কত টাকা বেতন বাড়বে : অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, মহার্ঘ ভাতায় বাড়িভাড়া বাড়ে না। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সিলিং তৈরি করে শুধু মূল বেতন বাড়ানো হয়। সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত চাকরিজীবীদের মূল বেতনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে বাড়ানো হবে। যদি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তাহলে একজন সরকারি কর্মচারীর বেতন সর্বনিম্ন বাড়বে এক হাজার ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেয় সরকার।

সরকারের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর সব সদস্য এই মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটি পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্য মূল বেতনের ভিত্তিতে এই ভাতা পাবেন।

এ ছাড়া চলতি বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সরকারি কর্মচারীদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও টিফিন ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। ডিসিদের এই প্রস্তাব আমলে নিয়ে এ তিনটি ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সাত লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেটে কী থাকছে : উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নির্দিষ্ট আয়ের লোকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তগুলোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই আগামী বাজেটে ভর্তুকি ও নগদ প্রণোদনা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে সাত লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। তাতে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। তবে এর আকার কমতে বা বাড়তে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। এটি চলতি অর্থবছরের লক্ষ্য থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বেশি। তবে করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। বর্তমানে করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকা। এদিকে দুই বছর ধরে প্রতিবছরই করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এবার এই কর কমানো না-ও হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব আদায়ের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি বাড়তি কর আদায়ে মনোযোগী হতে আগামী অর্থবছরে করপোরেট কর না কমানোর চিন্তা চলছে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ রয়েছে। আগামী ৩০ জুন এর মেয়াদ শেষ হবে।

এদিকে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আর দেশের জিডিপির আকার ৫০ লাখ ছয় হাজার ৬৭২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫ থেকে ৬.৬ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। আর বিনিয়োগ জিডিপির ৩৩.৮ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৬.৪ শতাংশ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ৩৩.৮ শতাংশের প্রাক্কলন করা হয়েছে।

বাড়ছে সুদ ব্যয় : আগামী অর্থবছরের বাজেটে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ছে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

সার্বিকভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের সুদ ব্যয়ে বরাদ্দ থাকছে ১.০২ লাখ কোটি টাকা।

ভর্তুকি : চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকিতে বরাদ্দ রয়েছে ১.০২ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর এটি বেড়ে ১.১০ লাখ কোটি টাকা হতে পারে। বিপুল ভর্তুকির মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ থাকছে ৩৩,০০০ কোটি টাকা।

সব ধরনের সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানোর ফলে আগামী অর্থবছর কৃষি খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা কমবে বলে হিসাব করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরে এই খাতের ভর্তুকিতে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে।

সামাজিক সুরক্ষা : সরকারের শেষ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নতুন করে ৭.৩৫ লাখ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রায় এক দশক পর আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরে এই খাতে অতিরিক্ত এক হাজার ৫২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমতে পারে : আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোর জন্য সব মিলিয়ে ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। চলতি এডিপি প্রণয়নের সময় এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৯ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। এ বছর বরাদ্দ কমছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।

দুই খাতেই অর্ধেক বরাদ্দ : শুধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং পরিবহন ও যোগাযোগ—এ দুই খাত মোট এডিপির প্রায় ৪৬ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছে। এর মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা পাচ্ছে, যা মোট এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশ। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা বা প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

বাজেটে ভ্রমণ কর বাড়তে পারে : কর আদায় বাড়াতে নানামুখী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর)। আসছে বাজেটে বিদ্যমান ভ্রমণ কর ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর