ইউপি নির্বাচনের ১৫ মাস পর পুনরায় ভোট গণনায় পরাজিত প্রার্থী হলেন বিজয়ী
ইউপি নির্বাচনের ১৫ মাস পর ভোট গননায় বিজয়ী হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ২নং রাজাপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মুকুল হোসেন।
বুধবার (২ মার্চ-২০২৩) বিকালে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান উপস্থিত থেকে পূনরায় ভোট গননা করেন। এতে মুকুল হোসেন ফুটবল মার্কায় ৪৩ ভোটে বিজয়ী হন। ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী মোট ৯২০ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকট তম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট।
এরআগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ২ নং রাজাপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মোরগ মার্কা প্রতিকের সাইফুল ইসলাম তার লোকবল দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে অভিযোগ করেন ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী মুকুল হোসেন।
তিনি জানান, ভোট গননার সময় সাইফুল ইসলাম তার লোকদের দিয়ে আমাকে সহ আমার সমর্থনকারী নূর মোহাম্মদ, শহিদুল, কামরুল সহ ২৫ জনকে মারধর করে আহত করে। এসময় ভোট গননায় বাধা দিয়ে তিনি তার জয় নিশ্চিত করে। অথচ সঠিক ভাবে ভোট গগনা হলে সে সময় আমি বিজয়ী হতাম। ভোটে এসময় ফুটবল প্রতিকে মুকুল হোসেন ৯৬১ ভোট পান। আর মোরগ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ৯৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
পরে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারিতে বেলকুচি আমলি আদালতে ফুটবল প্রতীকে মুকুল হোসেন বাদী হয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য মামলা করেন। পরে দীর্ঘ ১৫ মাস পর ২ প্রার্থীর উপস্থিতে সিরাজগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইবুনাল সদর কোর্টের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান পূনরায় ভোট গননা করে। এতে ফুটবল প্রতিকের মুকুল হোসেন মোট ৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিজয়ী মুকুল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পরে আজ আমি আইনের বিচার পেলাম। গণনায় ৪৩ ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাখল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস পর আইনি লড়াই শেষে আজ আদালত ভোট গননা করে মুকুল হোসেন বিজয়ী হন। এতে করে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
পরবর্তীতে এই রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। মোরগ প্রতীকে সাইফুল ইসলামের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্না।