চাচাত ভাইকে মারতে ডাকাত ভাড়া করতে গিয়ে বেদম পিটুনির শিকার
![](https://kolomerbatra.com/wp-content/uploads/2023/07/GridArt_20230712_190324907-700x390.jpg)
ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী চাচাত ভাইকে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ডাকাত ভাড়া করতে গিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ডাকাতের বেধরক পিটুনিতে আহত হয়ে পালতক রয়েছে চাচাত ভাই।
এমনটাই ঘটেছে কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউপিতে। আহত ভাতিজা ইসমাইল হোসেন রুবেল(৩২) খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে নাটুয়ারপাড়ায় বসবাস করেন। ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন চাচাতভাই রুহুল আমিন। ডাকাতদের সাথে রুবেলের কথোপকথনের ২২ মিনিটের অডিও ক্লিপ রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগার পাশাপাশি রুবেলের দোকান তালা বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চাচা হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে রুহুল আমিন নাটুয়ারপাড়া গুলের মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে কাপড়ের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করে আসছেন, সম্প্রতি আপন ভাজিজা ইসমাইল হোসেন রুবেল পাশের দোকানে একই ব্যবসা শুরু করেন, ব্যবসায় ভালো করতে না পেরে ঈর্ষা কাতর হয়ে ভাড়াটিয়া ডাকাতের মাধ্যমে চাচা ও চাচাতো ভাইকে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতদের সাথে দেখা করতে রায় রুবেল এবং চাচাসহ নাটুয়ারপাড়ার একাধিক ব্যবসায়ী কোন পথে টাকা-পয়সা নিয়ে চলাচল করে তার তথ্য ডাকতদের দেয়। সংগ্ৰহকৃত অডিওতে রুবেলের কণ্ঠে ডাকাতদের তথ্য দিতে শোনা যায়।
কণ্ঠ নিশ্চিত করে রুহুল আমিন বলেন, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রুবেল তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো, অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করে তাকে অডিও ক্লিপটি পাঠিয়ে সাবধান করা হয়, এর আগেও ডাকাত ভাড়া করার সত্যতা কথপোকথনে রয়েছে। রুবেল পলাতক রয়েছেন, সিরাজগঞ্জের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। রুবেলের পিতা নুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে আহতাবস্থায় চরাঞ্চলের সদর উপজেলার রুপসা বাজারের পূর্ব পাশ থেকে রুবেলকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে সদরে গোপনভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, চক্রান্ত হতে পারে।
এ ঘটনায় নাটুয়ারপাড়ার ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করে রুবেলের দোকান গত ১১ জুলাই সন্ধায় তালা বন্ধ করে দেয় তারা, নিশ্চিত করেছেন সেখানকার একাধিক ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় হুমকিতে থাকা রুহুল(৩৫) আমিন ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে কাজিপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত (পিপিএম) বলেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।