জমি নিয়ে বিরোধ-প্রতিপক্ষের মারধরে হাসপাতালের বেডে কৃষক দম্পতি!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতিকে বেধরক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফিরোজ গংদের বিরুদ্ধে। আহত ওই দম্পতি বর্তমানে হাতিবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী কাওসার বাদী হয়ে পাঁচ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে ওইদিন বিকেলে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। কৃষক দম্পতিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর ডাউয়াবাড়ি এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে ফিরোজ (৩৫), ওয়াহাব আলীর ছেলে ওবায়দুল (২৫), মৃত কফির উদ্দিনের ছেলে ওয়াহাব আলী ও মৃত শুকারুর ছেলে শাহিন (২৫)। ভুক্তভোগী ওই দম্পতি হলেন, উপজেলার একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে কাওছার আলী (৪৪) এবং কাওছার আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী কাওসারের সাথে ফিরোজের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। তারই জের ধরে শনিবার বিকেলে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা বাধে৷ এর এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ফিরোজ ও তার লোকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় বাধা দিতে এলে ওই দম্পতিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাওছার আলী বলেন, আমার নিজস্ব জমি, যার কাগজ পত্র সব কিছু আছে আমার কাছে, কিন্তু অভিযুক্তরা সেই জমি দাবি করছে এবং আমাদের চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না, আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার এবং আমার স্ত্রীর উপর হামলা চালায়।
কাওছার আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে আমারা সেই জমি ভোগ করে আসছি, কিন্তু হঠাৎ করে ফিরোজ ও তার লোকজনেরা সেই জমির মালিক দাবি করছে, আমরা চাষাবাদ করতে গেলে তারা আমাদেরকে নিষেধ করছে এবং তার প্রতিবাদ করায় আমাকে এবং আমার স্বামীকে মারধর করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ বলেন, তাদেরকে কোন মারধর করা হয়নি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।