মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ককে অব্যাহতি কাজিপুরে আ’লীগের মশাল মিছিল; ফেসবুকে ভাইরাল  কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল মানুষের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ‘সুস্বাস্থ্য’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু নাটোরে বিএসটিআই’র অভিযানে তিন বেকারি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সাধারণ সম্পাদক রনজক রিজভী কাজিপুরে সারে তিন লাখ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  কুড়িগ্রামে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ভাঙ্গুড়ায় গ্রামীণ কৃষকের উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার-২০২৫ অনুষ্ঠিত দুদক কর্মকর্তার দুর্নীতি ধরিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- দুদক চেয়ারম্যান কারামুক্ত হলেন সা’দ পন্থী আলেম মুফতি জিয়া বিন কাশেম

দশ ব্যাংক যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ডিজিটাল ব্যাংক

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩

দেশের প্রচলিত ধারার ১০ ব্যাংক জোট করে একটি ডিজিটাল ব্যাংক গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ১২৫ কোটি টাকার মূলধনের ব্যাংক গঠনে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিটি ব্যাংক সমান ১০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে অংশীদার হবে। প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এমন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের নাম ‘ডিজি-১০ ব্যাংক পিএলসি’। ব্যাংকগুলো হচ্ছে– দি সিটি, ডাচ্-বাংলা, ইস্টার্ন, মার্কেন্টাইল, মিডল্যান্ড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনসিসি, প্রাইম, পূবালী এবং ট্রাস্ট। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় জোটের প্রতিটি ব্যাংক সাড়ে ১২ কোটি টাকা করে মূলধন জোগান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও প্রথমে সিটি ব্যাংক ১৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং পূবালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার মূলধন জোগান দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ব্যাংক দুটি আগের এ সিদ্ধান্ত সংশোধন করেছে।

জানা গেছে, বড় অঙ্কের গ্রাহকের পাশাপাশি নিজস্ব বিশাল নেটওয়ার্ক থাকায় শুরুতে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় ডিজিটাল ব্যাংক গড়া নিয়ে কয়েকটি ব্যাংক আলোচনা করে। তবে বাংলালিংক একাই ৩০ শতাংশ মালিকানা দাবি করায় আলোচনা ভেস্তে গেছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো নিজেরাই এ ব্যাংক গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

ডিজিটাল ব্যাংক হলো সম্পূর্ণ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্যাংক। প্রচলিত ব্যাংকের মতো এ ব্যাংকে গ্রাহক আমানত রাখতে পারবেন, ঋণও নিতে পারবেন। এ কাজ সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থায় হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য পরিচয় শনাক্তকরণের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অ্যাকাউন্ট খুলবে এ ব্যাংক। প্রচলিত ব্যাংকের মতো এ ব্যাংকের কোনো শাখা থাকবে না। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শুধু প্রধান কার্যালয় থাকবে।

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আগ্রহীদের থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেছে। গত ২১ জুন থেকে এ ধরনের ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রথমে ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করার শেষ দিন ধার্য করলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৭ আগস্ট করেছে। ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন সমকালকে বলেন, প্রথাগত ব্যাংক গ্রাহকদের ‘স্মার্ট’ ব্যাংকিং সেবা দিতে পারে; কিন্তু কখনোই সম্পূর্ণ ডিটিজাল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারে না। সেবা গ্রহণের কোনো না কোনো পর্যায়ে সশরীর ব্যাংক শাখায় যেতেই হয়। ডিজিটাল ব্যাংক এখানেই আলাদা। এখানে ব্যাংক এবং গ্রাহকের যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে স্থাপিত হবে। কেউ কাউকে সরাসরি দেখবে না। সেবা হবে দ্রুত, যা অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত ব্যাংক দিতে পারে না।

মাশরুর আরেফিন আরও জানান, ডিজিটাল ব্যাংক শুধু ‘রিটেইল ব্যাংকিং’ সেবা দেবে। এখানে ব্যক্তি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, ঋণ আবেদনও করতে পারবেন। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডও নিতে পারবেন। কিন্তু কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ডিজিটাল ব্যাংকের সেবার আওতায় আসবে না। অর্থাৎ এখানে বড় ঋণ গ্রহণ বা আমদানি-রপ্তানির এলসি খোলা হবে না।

প্রথাগত ব্যাংক হয়েও কেন ১০টি ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক গড়তে যাচ্ছে– এমন প্রশ্নে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ব্যাংকিং একটা আস্থার ব্যাপার। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। ফলে শহর বা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার সুযোগ ব্যাংকগুলো নিতে চায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর