শিরোনামঃ
বাবার স্বপ্ন পূরণে ডাক্তার হতে চায় মরিয়ম
বাবার স্বপ্ন পূরণে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চায়
শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শ্রমিক জালাল উদ্দিনের ৯ বছরের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল বাকিয়া মরিয়ম।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর নয়াপাড়ায় মাল্টিফ্যাবস্ লিমিটেড নামক কারখায় মা নার্গিস পারভীন এর সাথে আসেন মরিয়ম । এসময় তার সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের তার বাবার স্বপ্ন পূরণের কথা জানান।
মাল্টিফ্যাবস্ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.মেজবা ফারুকী তাদের হাতে চিকিৎসা বাবদ দেড় লক্ষ টাকার একটি চেক ও নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়াও তিনি শিশু সন্তানের লেখাপড়া থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব নেন এবং নিহতের স্ত্রীর চাকরির ব্যবস্থা করার অঙ্গিকার করেন।
তিনি বলেন, শিশু জান্নাতুল বাকিয়া মরিয়মের ছবিটা প্রথম আলোতে যেদিন ছাপা হয়েছিল সেদিনই আমার চোখে পড়ে। ছবিটা দেখে নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে খুবই কান্না পায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেই মেয়েটির জন্য কিছু একটা করার। নিজের সেই দায়বদ্ধতা থেকেই প্রাথমিকভাবে তাদের খরচের জন্য দেড় লাখ টাকার চেক ও নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জান্নাতুল যতদিন লেখাপড়া করবে যতদূর করবে বিয়ে দেয়া পর্যন্ত সব খরচ আমরা বহন করব।
উল্লেখ্য নিহত জালাল উদ্দিন (৪০) জরুন এলাকার ইসলাম গ্রুপের সুইং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। জালাল জরুন এলাকার ফজল মোল্লার ভাড়া বাসায় সপরিবার বসবাস করতেন। গত ৮ নভেম্বর বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সময় বাড়ি যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন জালাল। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মারা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর