শিরোনামঃ
ভূমিহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী সোমেদান বেগম কে সরকারি খাস জায়গা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে ভূমিদস্যুরা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব শতবর্ষের অঙ্গিকার দেশে কোনো ভুমিহীন মানুষ থাকবেনা। সে অঙ্গীকারেই সারাদেশে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের মাঝে জমি ও পাকা ঘর বিনামূল্যে উপহার হিসেবে প্রদান করছে।
ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের সরকারি জমি থেকে প্রতিবন্ধী সোমেদান বেগমের পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে মোজাফফর গংরা।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সত্তরোর্ধ্ব সোমেদানের স্বামী মারা যায় ৩০ বছর আগে, শারীরিক অক্ষম সোমেদানের একমাত্র সম্বল এই খাস জমিটুকু, চার জনের অভাব অনটনের সংসারে একমাত্র মাথা গোজার ঠাই এই সরকারি জায়গাটা, আর সে জায়গার দিকেই দৃষ্টি পরেছে ভূমিদস্যু মোজাফফরের।
এ বিষয়ে ভূমিহীন সোমেদান বেগমের সাথে কথা হলে কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পরে অনেক কষ্টের মাঝে জীবন যাপন করছি। কোনো সহায় সম্বল না থাকায় সরকারি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। আর এখান থেকে উচ্ছেদের জন্য সারাক্ষণ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে মোজাফফর গংয়েরা। উপায় না পেয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এই জায়গা থেকেও যদি তারিয়ে দেয়, শেষ বয়সে সন্তান নাতী পুতি নিয়ে কোথায় যাবো।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে মোজাফফর গং সোমেদানের পরিবারকে সরকারি খাস জায়গা থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে।
এই অসহায় ভূমিহীন পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে সলঙ্গা থানার (ওসি তদন্ত) সবুজ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে এর বাইরে কিছু বলতে পারবোনা।”
এ বিষয়ে ধুবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভূমিহীন কোথায় থাকবে সেটা আমার দেখার বিষয় না।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কনা মন্ডল এ বিষয়ে জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, সরকারি খাস জমি ভূমিহীনদের অগ্রাধিকারই আগে। সরকারি জমি কেউ অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর