শাহজাদপুরে দাফনের আড়াই মাস পর লাশ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৭২ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের চর-বেলতৈল কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৭২ দিনপর কবর থেকে নিহত আল-আমিন হোসেনের লাশ উত্তোলন করেছে শাহজাদপুর থানাপুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান, শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ, এস আই সুমন সাঈদ ও সাংবাদিকবৃন্দ। জানা যায়, গত ৩ জুলাই কোরবানীর ঈদের আগে উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের চর-বেলতৈল গ্রামের মৃত বীরমুক্তি যোদ্ধা হামিদুল মাষ্টারের পুত্র গরু ব্যাবসায়ী আল-আমিন হোসেন (৩৫) গরু বিক্রি করার জন্য এলাকার কয়েকজন সহযোগীর সাথে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে টাঙ্গাইল রেলগেইটে ট্রাকটি দাড়ালে আল-আমিন প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ট্রাক থেকে নেমে যায়। কিন্তু সে আর ফিরে না আসায় তার সাথে থাকা সহযোগীরা তাকে খুজতে গিয়ে দেখে রেলগেইটের পাশে একটি ক্ষেতের মধ্যে আল-আমিনের খন্ডিত লাশ পরে আছে। এতে সবার ধারনা হয় রেল দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু ঘটেছে। পরে ঢাকা কমলাপুর রেলষ্টেশন থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করলে শাহজাদপুর নীজ গ্রাম চর-বেলতৈল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলষ্টেশন থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু নিহত আল-আমিনের মা মোছা. আবেদা বেগমের ধারনা নিহত পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিনি বাদী হয়ে মো. স্বপনসহ ৭ জনকে আসামী করে শাহজাদপুর আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলার আবেদন করেন। ভিকটিম আল আমিনের মৃত্যুর সঠিক কারন জানার জন্য লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদেশ দেন শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী। তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. হামিদুল হক।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন- আদালতের আদেশে আমরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছি।ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিহত আল আমিনের মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।