সেই দুর্দিনের প্রবীন আ’লীগ নেতাদের পাশে দাঁড়ালেন জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি
খবর প্রকাশের পর দুর্দিনের সেই প্রবীণ নেতাদের পাশে দাঁড়ালেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হক।
শুক্রবার (৮জুলাই) দুপুরে কয়েকজন প্রবীণ নেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং ফলমুল ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে উত্তরাঞ্চল তথা লালমনিরহাট জেলার রাজনীতি জাতীয় পার্টির দখলে চলে যায়। সংখ্যায় কম হওয়ায় সেই সময় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বেশ নির্যাতন সহায় করে রাজনীতির মাঠে টিকে ছিলেন। অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্চ্যুত হন নি। আওয়ামীলীগের সেই দুর্দিনে পকেটের টাকা আর গোলার ধান পাট বিক্রি করে যারা আওয়ামীলীগের কর্মসুচি সফল করেছেন তারা আজ বয়সের ভাড়ে নাজুক। যৌবনের আয় দলের পিছনে ব্যায় করে আর্থিক ভাবে হয়েছেন পঙ্গু। বর্তমান আওয়ামীলীগের জয় জয়কার অবস্থায় নেতাকর্মীর অভাব নেই দলটিতে। নব্যদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছেন দুর্দিনের সেই ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তাদের কোন খোঁজ খবরও নেন না কেউ। অনেকেই নিজের ও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের দুয়ারে ঘুরেও নিস্ফল হয়েছেন।
সেই দুর্দিনের হাতিয়ার ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আজ সুদিনে অবহেলিত। এমন কয়েকজন নেতাকর্মীর বাস্তব চিত্র ও তাদের স্বাক্ষাতকার নিয়ে গত ২২জুন “নব্য আ’লীগদের ভিড়ে তৃনমূলের প্রবীণ নেতারা এখনও অবহেলিত একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার(৮ জুলাই) তাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হক। তিনি এরশাদ হটাও আন্দোলনের সময়কার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার ও একই এলাকার একই সময়কার প্রবীণ নেতা ঈশা খাঁন বিদার বাড়িতে যান। এ সময় তাদের স্বাস্থ্য ও সংসারের খোঁজ খবর নেন।
প্রবীণ নেতা আব্দুল গফ্ফার বলেন, টাকা পয়সা চাই না। আওয়ামীলীগের পিছনে সর্বস্য ত্যাগ করেছি। আজ সুদিনে ক্ষমতার চেয়ারে বসা আর পদধারীরা একটু খোঁজ খবর রাখবেন মুল্যায়ন করবেন। বুড়ো বয়সে সেটাই পরম পাওয়া। জেলা নেতা দেখতে এসেছেন, এতেই আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থ্যতা অনুভব করছি। সকল প্রবীণদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
বস্তুনিষ্টি সংবাদ পরিবেশন করে জেলা আওয়ামীলীগের দৃষ্টিকার্ষন করায় এ প্রতিবেদককে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, শুধু আওয়ামীলীগ করায় দীর্ঘ ২১ বছর পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে অনেক নেতাকর্মীকে। সেই সময়ে যাদের শ্রমে নৌকা সাফল্যের সিঁড়ি বেঁয়ে আজকের পর্যয়ে পৌছেছে তাদের ঋন শোধ করার মত নয়। তৃণমুলের এসব নৌকা প্রেমিরাই ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রাণ। তারা আজ সম্পদ চান না। তারা একটু ভালবাসা চান। পর্যাক্রমে সকল প্রবীণ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাবো। পাশ্ববর্তি প্রবীণ আওয়ামী নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিতে দলের সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।