অভিযান-১০ ট্র্যাজেডির এক বছর উপলক্ষে বেতাগী প্রেসক্লাবের দোয়া অনুষ্ঠিত

সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ ট্র্যাজেডির এক বছর উপলক্ষে নিহতদের স্মরণে বেতাগী প্রেসক্লাব আলোচনা ও দোয়ানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভযাভহ লঞ্চের আগুনের সেই বিভিষিকাময় স্মৃতির কথা স্মরণ করে এখনো শিউরে উঠেন নদীতে ভেসে যাওয়া যাত্রীরা। এখানো কান্না থামছেনা স্বজনহারা মানুষদের।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন। নদীতে ভেসে ওঠা যাত্রী বেতাগী উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব প্রভাষক আ: হাই নেছারি সবই বলেন, সেদিনকার দু:সস্মৃতির কথা আজও কিছুতেই ভুলতে পারছিনা।
কখনো ভবতে পারিনি মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসবো ও বাঁচাতে পারবো পরিবারকে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ২৮ দিনের সদ্যোজাত পুত্র সন্তান সিফাতুল্লাকে দেখতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে চড়েন উপজেলার কাজিরাবাদের বাসিন্দা রিয়াজ হাওলাদার।
ওই দিন লঞ্চটি ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে ভোর রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যারা মারা যান তাঁদের মধ্যে ছিলেন রিয়াজও। প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে দুই ছেলের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে মুক্তা বেগমকে।
মুক্তার মতো সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে প্রিয়জন হারিয়েছেন বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন। অভিযান ১০ লঞ্চে ওইদিন তার বোন রিনা আর ১২ বছরে ভাগ্নি লিমা তার অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসছিলেন। লঞ্চের ভয়াবহ আগুন তাদেরও জীবন কেড়ে নেয়। মোকামিয়া ইউনিয়নের খাদিজা বেগমের স্ত্রী আরিফুর রহমান ও ৪ বছরের মেয়ে কুলসুমও ফিরেছেন লাশ হয়ে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুস সালাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়ানুষ্ঠানে বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল আক্তার, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)‘র সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, বেতাগী নাগরিক ফোরামের ভাপতি লায়ন মো: শামীম সিকদার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন খান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষযক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সংবাদিক মো: সুজন ও আরিফ সুজন প্রমুখ।
এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাতে পরম করুনাময়ের কাছে তাঁদের রুহের মাগফিাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।