রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন

আজ পবিত্র আশুরা

রিপোর্টারের নাম : / ৫২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

পবিত্র আশুরা আজ। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হবে। কারবালার শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল- এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। নবীজির ইন্তেকালের কয়েক দশক পর ৬০ হিজরির এ দিনেই প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হোসাইন (রা.) ফুরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃণ্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে ইয়াজিদের পিশাচ বাহিনী। কারবালার ঘটনা নিঃসন্দেহে জঘন্যতম এক ঘটনা। এ ঘটনা আমাদের শেখায় হকের পক্ষে অবিচল থাকার, ত্যাগ ও আত্মত্যাগের এবং জালিমের সামনে মাথানত না করার শিক্ষা। তবে ইসলামে আশুরার মাহাত্ম্য কেবল এ কারণে নয়। আরও অনেক কারণ নিহিত রয়েছে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এ বছর ২০২৪ ইংরেজি মোতাবেক ১৪৪৬ হিজরি, মহররম শুরু হয়েছে গত ৮ জুলাই। সে হিসেবে ১০ মহররম বা পবিত্র আশুরার দিনটি হলো ১৭ জুলাই, বুধবার। যারা আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রাখবেন, তাদের ১৬ ও ১৭ জুলাই মঙ্গল ও বুধবার অথবা ১৭ ও ১৮ জুলাই বুধ ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে হবে। কেননা হাদিস শরীফে এসেছে- ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো। (মুসনাদে আহমদ : ২১৫৫) আশুরার আমল সম্পর্কে জানা যায়, কারবালার ঘটনার বহু আগেই বিশ্বনবী (সা.) হাদিস বর্ণনা করেছেন।

রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে রাত্রিকালীন নামাজ’ (মুসলিম : ১১৬৩)। আর মহররমের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরও বেশি।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি, অন্য সময় তা দেখিনি’ (বুখারি : ১/২১৮)। আশুরার দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তায়ালা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। অপর হাদিসে বলা হয়েছে- আশুরার দিনের রোজা সুন্নত এবং বরকতময়। তবে রোজা রাখার ক্ষেত্রে বিশ্বনবীর নির্দেশনা হলো-তোমরা এই রোজার ক্ষেত্রে ইহুদিদের বিরোধিতা করো। অর্থাৎ তারা শুধু ১০ তারিখ রোজা রাখে।

আর তোমরা ১০-১১ অথবা ৯-১০ তারিখ রোজা রাখবে। এর বাইরে আর যতকিছু আছে মাতম, মিলাদসহ সবকিছুই বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য। মিছিল, আতশবাজি ফোটানো, বিশেষ খাবার রান্না করা এসবের কোনো নিয়ম নেই। এ ছাড়া এদিনের বিশেষ নামাজ, বিশেষ দোয়া-দরুদ বা আমল নেই। তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যদিনের মতোই এদিন নফল আমল করতে পারবে। তবে নফল রোজার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর