মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ! নাগেশ্বরীতে শিশু সুরক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধ ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপ্তি গাজীপুর জেলা বিএনপির সংশোধিত আহবায়ক কমিটি ঘোষণ সিরাজগঞ্জে বৃক্ষপ্রেমী শহিদুলের নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ বিতরণ সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন!চার ডাকাত আটক উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা উদ্বোধন ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখার মসজিদের সামনে বিএসএফ’র সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গুড়ায় সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল হাকিম কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ

ইউরোপে পোশাক রপ্তানির পরিমাণে শীর্ষে বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম : / ১২২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

জোটগত প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এলো বাংলাদেশ। কয়েক দশক ধরে শীর্ষ স্থানটি চীনের দখলে ছিল। ২০২২ পঞ্জিকা বছরে ইইউর ২৭ দেশে ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চীন রপ্তানি করেছে ১৩১ কোটি কেজি পোশাক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও চীনের দ্বিগুণ। আগের বছরের চেয়ে গত বছর ইইউ জোটে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা ১২ শতাংশেরও কম চীনের। ইইউর সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা  গেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম। ইইউতে মাত্র ১৫ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে দেশটি। জোটে রপ্তানির পরিমাণে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। গত বছর তুরস্কের ৪৭ কোটি কেজি পোশাক গেছে ইইউতে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ২১ কোটি কেজি।

অবশ্য পরিমাণে চীনকে ছাড়িয়ে গেলেও অর্থমূল্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও চীনের পেছনে। পরিসংখ্যান বলছে, ইইউর দেশগুলোতে গত বছর ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ২৮৯ কোটি ডলারের। তবে এ ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রবৃদ্ধির হিসাবে দ্বিগুণ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত বছর অর্থমূল্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ, যেখানে চীনের এ হার ১৭ শতাংশ।  ইইউতে রপ্তানিতে  সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি।

পরিমাণে বেশি রপ্তানি সত্ত্বেও অর্থমূল্যে চীনের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে  টিম গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিক সমকালকে বলেন, চীনের পোশাক খাতের ভিত্তি এখনও অনেক মজবুত। চীনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং ফাংশনাল পোশাক বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখনও মৌলিক মানের পোশাকই বেশি করে থাকে। এ কারণে পরিমাণে বেশি রপ্তানি করেও মূল্য বিবেচনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চীনের অবস্থানে যেতে বাংলাদেশের আরও অনেক সময় প্রয়োজন হবে। অবশ্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা উচ্চ মূল্যের টেকনিক্যাল পোশাক উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছেন। এসব পোশাকের মূল্য অনেক বেশি। গড়ে ৯০ থেকে ১০০ ডলার দামে এসব পোশাক রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের উচ্চ মূল্যের পোশাক উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়ছে বলেই দর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সংকটের মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে। ইউরোস্ট্যাটের  পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চীনের পোশাকের মূল্য বেড়েছে ৫ শতাংশের কিছু কম। ভিয়েতনামের পোশাকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। গত বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৩ শতাংশ হারে পোশাকের দাম বেড়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর