গাইবান্ধা সদরের গড়দিঘী গ্রামে চলাচলের রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে তিন জন আহত
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গড়দিঘী গ্রামে বসতবাড়িতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে এক সংঘর্ষে তিন জন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নয়া মিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। নয়া মিয়া হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল কাইয়ুম সরকার বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামি করে গাইবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করার জন্য অভিযোগ দাখিল করেছে। মামলার অভিযোগে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র আব্দুল কাইয়ুম সরকারের সাথে প্রতিবেশী মৃত বাচ্চা আলীর পুত্র আব্দুল হাই গং দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজ নিজ বসতবাড়িতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে শত্রুতা পোষণ করে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর’ ২০২২ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৩ টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আব্দুল কাইয়ুম সরকারের বাড়িতে সালিশ বৈঠকে সর্ব সম্মতিক্রমে লোকজন চলাচলের জন্য রাস্তার দুই পাশে ২ হাত করে তাদের নিজ নিজ জায়গা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করে সালিশের লোকজন চলে যায়।
এদিকে সালিশের লোকজন চলে যাওয়ার পর পরই আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে একদল দুস্কৃতিকারী হাতে লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোরা সহ আব্দুল কাইয়ুম এর বসতবাড়ির আঙ্গিনায় অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এসময় আব্দুল কাইয়ুম সহ জেঠাতো ভাই নয়া মিয়া, ভাতিজা হোসেন আলী গত এগিয়ে এসে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আব্দুল হাই এর হুকুমে আব্দুল হাই সহ। দুস্কৃতিকারীরা এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। এতে নয়া মিয়া, হোসেন আলী ও শান্তনা আক্তার আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতদের মধ্যে নয়া মিয়ার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল কাইয়ুম সরকার বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় আল আমিন, আব্দুল হাই, মমিন মিয়া, আব্দুল কাফি, আব্দুর রউফ, উজ্জ্বল মিয়া, আকলিমা বেগম ঐ ছালমা বেগমসস ৮ আসামি করে মামলা দায়ের করার জন্য অভিযোগ দাখিল করেছে।