বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে কমিউনিটি নেতা ও যুব ফোরাম এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত জুলেখা সিদ্দিকীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে মাদক কারবারি আটক বিডি২৪লাইভের বর্ষসেরা জেলা প্রতিনিধি হলেন সিরাজগঞ্জের সোহেল রানা গাজীপুরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ,গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ কুড়িগ্রামে কমিউনিটি নেতা ও যুব ফোরাম এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে লাগা আগুন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কোনাবাড়িতে প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট নাগেশ্বরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত

কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম : / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন, যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

গতকাল বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০ : জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বুলগেরিয়া, জাপান ও ইউএনএফপিএর সঙ্গে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো খুঁজে বের করে আলোচনার জন্য বিশ্বের একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের      রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো আন্তরিক হতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরো কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। আমি আশা করি, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার, বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বিশ্বের সব মানুষের, বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরো জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপির নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন। বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা ‘আইসিপিডি প্রগ্রাম অব অ্যাকশন’-এর ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২-কে আরো হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জাতীয় জনসংখ্যা নীতিমালা-২০১২-কে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হালনাগাদ নীতিমালার মাধ্যমে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং বনিয়াদি শিক্ষার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করা হবে। এই নীতিমালা ২০৪১ সাল থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি।’

বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর