রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের

রিপোর্টারের নাম : / ৫১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

বিকালে নিজ দপ্তরে বসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইতে হলে আইন অনুযায়ী লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ফাইল করতে হয়। সেই লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়েছে। আদালত শুনানির পর সিদ্ধান্ত দেবেন আমাদের আপিলের অনুমতি দেবেন কি না। আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) আবেদনে দেখিয়েছি কী কী কারণে হাইকোর্টের রায়টি সঠিক হয়নি। আদালতের কাছে আমাদের প্রার্থনা হচ্ছে, লিভ (আপিলের অনুমতি) দিয়ে হাইকোর্টের রায়টি যেন বাতিল করা হয়।’

কী কী যুক্তিতে আবেদনটি করা হয়েছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের মূল যুক্তিটা হচ্ছে এটা (কোটা) সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। ফলে এতে আদালতের বিচারের কিছু নেই।’

২০১৮ সলের ৪ অক্টোবর কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করেন জনপ্রশাসন সচিব। ২০২১ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিলের এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ওই বছর ৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন।

সে রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত।

এদিকে এ রায় স্থগিত চেয়ে সরকার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।

কিন্তু চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ না করে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।

শুনানির পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেন। রাষ্ট্রপক্ষের এই লিভ টু আপিল করার অপেক্ষার মধ্যে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ৯ জুলাই আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

ওই আবেদনে শুনানির পর কোটা পদ্ধতি সংক্রান্ত বিষয়বস্তুর (২০১৮ সালে জারি করা কোটা বাতিলের পরিপত্র) ওপর স্থিতাবস্থা দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর ১১ জুলাই হাইকোর্টের রায়ের কার্যকরী ও নির্দেশনা অংশ এবং ১৪ জুলাই ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর লিভ টু আপিল করল রাষ্ট্রপক্ষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর