শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-১ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ আদম ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় নিঃস্ব সোহেলের পরিবার, থানায় অভিযোগ টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দ্বিতীয় দফায় প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ- এবারেও মাউশির চিঠি উপেক্ষা করলেন সভাপতি

রিপোর্টারের নাম : / ৩২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

মাসুদ রানা, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ অন্যান্য আট-দশটি সাধারণ বিদ্যালয়ের মতই একটি, পটুয়াখালী বাউফলের আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তফাৎ শুধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতি। আইনকানুননের তোয়াক্কা করেন না এই দুই ব্যক্তি। মাউশি কিংবা আদালত কোনো সিদ্ধান্তই মানেন না তারা৷ সর্বশেষ গত ১লা অক্টোবর প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য সভাপতিকে দ্বিতীয় দফায় নির্দেশ দেয় মাউশি। তবে আজও উপেক্ষিত হয়েছে মাউশির চিঠি।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর। হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে তৎকালীন সভাপতি মনোয়ারা বেগম ও নিয়োগ কমিটি। ২৭ প্রার্থী কেন্দ্রে উপস্থিত হলে, তাদেরকে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানায় নিয়োগ কমিটি। তবে অভিযোগ ওঠে, সেদিনই গোপনে ঐ প্রার্থীদের মধ্যে ৫ জনের পরীক্ষা নেয়া হয়। সন্ধ্যার মধ্যেই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয় খাইরুল আলমকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মাউশি মহাপরিচালক বরাবর আবেদন জানায় আট প্রার্থী। সরেজমিনে দুই দফা তদন্ত করে মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন পাঠায় বরিশাল অঞ্চলের উপপরিচালক। তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয় অনিয়মের বিষয়টি।

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর ২৬ ডিসেম্বর খাইরুলের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মাউশি। কিন্তু মাউশির চিঠি উপেক্ষা করেন বিদ্যালয়ের ততকালীন সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। উল্টো মাউশির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন অভিযুক্ত খাইরুল। রিটের শুনানি শেষে গত ১৫ জানুয়ারি মাউশির নির্দেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন মাউশি মহাপরিচালক। ২০ মার্চ, হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। চেম্বার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আপীল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে মাউশির নিয়োগ বাতিলের চিঠি। অথচ বহাল তবিয়তেই আছেন খাইরুল আলম। এমনকি শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও আছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার খাইরুল আলমের নিয়োগ বাতিল করে মাউশিকে জানানোর নির্দেশসহ সভাপতিকে ফের চিঠি পাঠানো হয়। চেম্বার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনোভাবেই খাইরুল আলম দায়িত্বে থাকতে পারেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ২য় দফায় চিঠি পাওয়ার পর ওই দিন সন্ধ্যায় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়৷ তবে এবারেও মাউশির চিঠি উপেক্ষা করেছেন সভাপতি। এখনো স্বপদে বহাল আছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সভাপতির কাছে মাউশির নির্দেশ বাস্তবায়ন করা দাবিতে আবেদন করেছিল একজন নিয়োগ প্রার্থী। তখনও নেয়া হয়নি পদক্ষেপ।

ভুক্তভোগী নিয়োগ প্রার্থীদের অভিযোগ, বিগত দিনের মতই ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে মাউশি ও চেম্বার আদালতের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে খাইরুল আলম এখনো দায়িত্ব পালন করছেন।

তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, ‘চিঠির সত্যতা নিশ্চিত হতে হবে।’ মাউশি অফিসিয়াল ইমেইল পাওয়ার পরেও নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিসি ও মাউশির মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।’

নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়া চিঠি পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করছেন মাউশির সহকারী পরিচালক কাওছার আহমেদ।।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর