নদী ভাঙ্গা মানুষের সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি: এমপি জয়

যমুনা নদী কুলের কাজিপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার জনসাধারণকে আপদকালীন নিরাপদ রাখতে গান্ধাইল ইউনিয়নের পূর্ব খুকশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। বাকি সময়ে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবনে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
শনিবার ১৮ মার্চ দুপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এমপি, তিনি বলেন কাজিপুরের নদী ভাঙ্গা মানুষের সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে গত ১৪ বছরে উপজেলার মাইজবাড়ী হতে ভাটপিয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যায় করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান প্রাক্কলিত ব্যায় ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, তলা বিশিষ্ট ভবনে ৪০০ মানুষ এবং ১০০ গবাদিপশুর আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সিড়ি ও বাথরুমের ব্যবস্থা রয়েছে।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স একেএম ফজলুল রহিম রহমান টিপু ট্রেডার্স। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য ছিলেন, ইউএনও সুখময় সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম শাহা আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম তালুকদার। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাজিপুর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আহমেদ, ইউনুস উদ্দিন। সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার, গান্ধাইল ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার, সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত উল ইসলাম শাওনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আঃ খালেক।