বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রাম সদরে ইটভাটা বন্ধ করে দিল প্রশাসন  বিএনপি’র নেতার অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালাতে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমান আদালত! প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি পেশ তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ ১২ দফা বাস্তবায়নের দাবি! নাটোরে বিএসটিআইয়ের অভিযানে বেকারি কারখানাকে জরিমানা গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ৫৮০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ৫৮০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২ শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজে বসন্তের আগমনী ধ্বনি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন গাজীপুর মহানগর সভাপতি গ্রেফতার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ! নাগেশ্বরীতে শিশু সুরক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধ ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপ্তি

নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে সাগরে মাছ ধরতে নামছেন জেলেরা

রিপোর্টারের নাম : / ৬২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাতে সাগরে মাছ ধরতে নামছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সাগরে মাছ শিকারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন কক্সবাজার উপকূলের লক্ষাধিক জেলে। সাগরে ৬৫ দিনের অবরোধের কারণে বেকার থেকে ধারদেনা করে চলতে হয়েছে জেলেদের। নিবন্ধিত জেলেরা সরকারি ত্রাণ পেলেও অধিকাংশই বঞ্চিত হয়েছেন।

জানা যায়, গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার ছাড়া এসব জেলের আর কোনো পেশার অভিজ্ঞতা নেই। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে লাখের মতো জেলে থাকলেও তাঁদের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৯৩ জন। ট্রলার সংখ্যা ৫ হাজার। রবিবার রাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে নেমে পড়বেন। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি জানান, রবিবার মধ্যরাত ও সোমবার ভোর থেকে জেলার প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ফিশারিঘাট, কস্তুরাঘাট, কলাতলী ও দরিয়ানগর, সদরের খুরুস্কুল, চৌফলদন্ডী, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, উখিয়া ও পেকুয়ার তিন হাজারের বেশি ট্রলার সাগরে নামবে। সাগরের পানি বেড়েছে। এ কারণে বেশি ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছের বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের ফিশারিঘাটের জেলেরা জানান, মাঝারি কিংবা বড় সাইজের ট্রলার নিয়ে সাগরে নামতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এবার ৬৫ দিন বেকার থাকায় পুঁজি শেষ করে ধার-দেনায় জর্জরিত তারা। সাগর থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ শিকার করে সে দেনা থেকে মুক্ত হওয়ার আশা করছেন। ফিশারিঘাট কেন্দ্রিক বরফকল মালিকরা জানান, বছরের পুরো সময়ই টেকনিশিয়ানসহ শ্রমিকদের বেকার বসিয়ে বেতন দিতে হয়। সাগরে আবার মাছ ধরা শুরু হওয়ায় সংকট অনেকটা কেটে যাবে। কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, সাগর কিছুটা উত্তাল হলেও জীবিকার তাগিদে রবিবার ভোরে ফিসারিঘাট থেকে শত শত ট্রলার গভীর সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রলারগুলো মাছ ধরে কয়েকদিন পর ঘাটে এলে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, ২০২২ সালে কক্সবাজার উপকূল থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৩৫৪ মেট্রিক টন। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আশা করছি মৌসুমের শুরুতেই প্রচুর ইলিশ মিলবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর