মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অনবদ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ম্যানগ্রোভ হ্যাকাথনের ফাইনাল কাজিপুরে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৬ জনের অর্থদন্ড  উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক সুজানগরে ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপির নেতারা যশোরের শার্শা মূল্য তালিকা না থাকায়’৪ দোকানদার কে জরিমানা ভাঙ্গুড়ায় মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন গন অধিকার পরিষদের ভালুকায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর  দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর গাজীপুর নগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেবিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার-৫৮ ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বেতাগীতে বেড়েছে চোখ ওঠা, বাজারে ড্রপের সংকট

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: / ১২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

বরগুনার বেতাগীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস) রোগের প্রকোপ ও রোগীর সংখ্যা। দিন দিন প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারেও সহজে মিলছেনা চোখের ড্রপ। দেখা দিয়েছে সংকট।

প্রতিবছর গ্রীষ্মে এ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগের দেখা মিললেও এবার শরতে বেড়েছে এর প্রকোপ। শিশু, বয়স্কসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন চোখের প্রদাহ রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু এই হাসপাতালে চোখের চিকিৎসক বা কনসালট্যান্ট না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। অনেকেই ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বাইরের ফার্মেসি থেকে ড্রপ কিনে ব্যবহার করছেন চোখে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চোখ ওঠাকে কনজাংটিভাইটিস বা রেড/পিংক আই বলে। রোগটি মূলত ছোঁয়াচে ও ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। কারও কারও চোখ ওঠা হয়তো তিনদিনে ভালো হয়ে যায়। আবার অনেকের তিন সপ্তাহও লাগতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে চোখে চুলকানি, লাল হওয়া ও পানি পড়ার লক্ষণ নিয়ে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালে চোখের চিকিৎসক না পেয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই প্রাইভেট ক্লিনিকেও চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। চোখের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত উত্তম শীল নামের এক সেল্যুন ব্যবসায়ী বলেন, আমার চোখ লাল হয়ে আছে, সঙ্গে চুলকানি। সকালে দুই চোখ আটকে থাকে, পানি দিয়ে অনেকক্ষণ পরিষ্কার করে চোখ খুলতে হয়। রোগটি ছোঁয়াচে বলে কাস্টমারও চুল কাটাতে আসছে না।

চোখের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত সাইদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে চোখের কোনো ডাক্তার নেই। চোখের এ সমস্যা নিয়ে সরকারি হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে গেলে সেখান থেকে পাঠানো হয় অন্য বিষয় চিকিৎসকদের কাছে। মানুষ বাইরের চিকিৎসকদের কাছে পরমর্শ নিয়ে দোকান থেকে ড্রপ কিনে ব্যবহার করছে। কিন্ত সরবরাহ কম থাকায় এতেও রয়েছে সংকট। ’

বেতাগী পৌর শহরের তাজ ফার্মা এন্ড সার্জিকালের প্রোপাইটার মো: হুমায়ূন কবির জানান, হঠাৎ করে চোখ ওঠা রোগ বেড়ে যাওয়ায় চোখের ড্রপ ক্রয়ে মানুষের চাহিদা বেড়েছে। কিন্ত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু বকর বলেন, সারা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এ সময়টাতে একটু সচেতন থাকলে ভয়ের কিছু নেই। তবে আক্রান্ত হলে বাড়িতেই থাকতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর