বেতাগী-কচুয়া ফেরী উদ্বোধন নিয়ে নিন্দার ঝর

বিষখালী নদীতে বেতাগী-কচুয়া ফেরি উদ্বোধনে কচুয়ার সাধারণ জনগণ খুশি হলেও নিন্দার ঝর তোলে বেতাগীর সাধারণ জনগণ।
আজ বুধবার (৬ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে ভার্চুয়ালে উদ্বোধন করেন জাতীয় নেতা এমপি আমির হোসেনকে আমু। ৯০ সাল থেকে বেতাগী-কচুয়া ফেরির দাবীতে মানববন্ধন সহ আন্দোলন করে বেতাগীর সাধারণ জনগণ, সাংবাদিক,সুশীল সমাজ,শিক্ষক। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকান সহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনীয় আয়োজন করা হয় কচুয়া অংশে। যেখানে রাখা হয়নি বেতাগী উপজেলার কোন নেতৃবৃন্দকে। এতে সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আয়োজকদের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায়।
কালেরকন্ঠ পত্রিকার বেতাগী প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী বলেন “দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে আজকে ফেরি স্থাপিত হয়েছে এবং উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র এবং বেতাগীর সাংবাদিকদের ব্যাতিত উদ্বোধন করাটা খুবই দুঃখজনক। এটা তাদের উচিত হয়নি”
দৈনিক ইত্তেফাক বেতাগীর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মজনু বলেন “৯০ সাল থেকে এই ফেরির জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমাদের সাথে প্রয়াত এমপি টুলু সহ বর্তমান এমপি রিমন, মেয়র গোলাম কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান ছিল। কিন্তু আজকে তাদের এবং বেতাগীর কোন সাংবাদিকদের উপেক্ষা করে উদ্বোধন করার তীব্র নিন্দা জানাই”
বেতাগী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু জানান “উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু এই জনপদের জন্যই ফেরি পাওয়া খুবই আনন্দের। তবে এই আনন্দের পিছনে রয়েছে লম্বা আন্দোলনের ইতিহাস। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের বরগুনার তিন এমপি,মেয়র একজনকেও না রাখায় আমরা অংশ নিইনি।”
বেতাগী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির বলেন “এই ফেরীর জন্য বেতাগীবাসির অবদান কম নয়। আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের না রাখা খুবই দুঃখজনক”
এই বিষয়ে আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।