মোঃ আব্দুল আজিজ,ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ মিটার সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,তবে কাজের শুরুতেই প্যালাসাইটিং, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে স্থানীয়দের বাধার মুখে উপজেলা প্রকৌশল অফিস নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুযানের উত্তর পাড়া এলাকায় পালা সাইটিং নির্মাণ কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেলিম হোসেনকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন বলছেন, সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করলে বিল ছাড় করণের কোন সুযোগ নেই।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ানের উত্তর পাড়া এলাকায় প্যালা সাইটিং ৬৭ মিটার ১মিটার উচ্চতা,সড়কের বালিভরাট ১০ ইঞ্চি, সাববেজ(বালি ও খোয়া) ৭ ইঞ্চি, বিএমডাব্লুিউ ৬ ইঞ্চি, কার্পেটিং ৪০ মিটার কাজ নির্মাণ করবার জন্য কাজ পান পাবনার মেসার্স সেলিম হোসেন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু প্রথমে প্যালাসাইটিং কাজ করতে গেলেই নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে থাকে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে স্থানীয় জনতা প্রথমেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে সিডিউল মোতাবেক তাদেরকে কাজ করতে বলেন এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন।

এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার মিত্র পরিদর্শন করে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫-৪-২০২৫ইং তারিখে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল করিম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কাজ করা যাবে না মর্মে নির্দেশ দেন।

কিন্তু ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল করিমের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে অধিক শ্রমিক লাগিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ৬৭ মিটার প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন,নিম্নমানের ইট দিয়ে প্যালা সাইটিংয়ের কাজ করার অভিযোগে ঔ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজটি ভেঙে ফেলে পূণরায় কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।