ভোলাহাটে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ মানবেতর জীবন যাপন

ভোলাহাটে দুই বছর যাবৎ ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন দলদলী ইউনিয়নের পোলাডাংগা (ঘোণটোলা) গ্রামের মৃত কশিমুদ্দিনের ছেলে লোকমান আলী। এখন তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা গেছে। ভাতা বঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদে পিতার নাম কশিমুদ্দিনের পরিবর্তে ভুলবশত কলিমুদ্দিন হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই বছর ধরে আমার ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত আছি। তিনি আরও বলেন, আমি দিনে তিনবেলা খেতে পর্যন্ত পারিনা, আমি পিআইও কাউছার আলম সরকারের কাছে থেকে মাঝে মধ্যে চাল-টাকা নিয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছি।
তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি অফিসে অফিসে ঘুরেও আমার সমাধান করতে পারিনি। তিনি গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় রহনপুর রহমতপাড়ার ক্যাপ্টেইন আলতাব হোসেনের অধিনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বলে ভোলাহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। নুরুল হক জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধা লোকমান আলীর ব্যাপারে তদবির করে তার পিতার নাম সংশোধন করা হয়েছে।
খুব তাড়াতাড়ি তার ভাতাদি চালু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমার পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করা হবে। এদিকে, সোনালী ব্যাংকের ভোলাহাট শাখার ব্যবস্থাপক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব মোঃ নেসার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লোকমান আলীর পিতার নাম আর একই ইউনিয়নের অন্য একজন মুক্তিযোদ্ধার পিতার নাম একই হওয়ায় লোকমান আলীর ভাতা বন্ধ আছে বলে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমি জানি।
তবে খুব তাড়াতাড়ি এটার সমাধান হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এরকম আরও কয়েকজনের নামের জটিলতা কিংবা সামান্য ভুলের জন্য ভাতা বন্ধ হয়ে আছে বলে জানা গেছে। ভাতা বঞ্চিতদের দাবি অল্প সময়ের মধ্যেই যেন তাদের বন্ধকৃত ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।